সব শেষে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। আর সেখানেই তৈরি হল নয়া বিতর্ক। কার♚ণ আজ, সোমবার যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে সজল ঘোষকে প্রার্থী করা হয়েছে। যাঁকে নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। তোলাবাজি থেকে গোলমালে উস্কানি দেওয়া—এমন সব অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এলাকাতেও তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নেই। তারপরেও তাঁকে টিকিট দেওয়ায় বিজেপির অন্দরেই ফিসফাস শুরু হয়েছে।
এই বিজেপি নেতা ൩সজল ঘোষ কলকাতা পুরসভা এলাকার ৫০ নম্বর ওয়ার𓆉্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তারপরই ওয়ার্ডটি নজরকাড়া হয়ে উঠেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, এই নির্বাচনে টিকিট পেতে তিনি জোরদার সওয়াল করেছিলেন দলের অন্দরে। কারণ প্রার্থী হতে না পারলে অনুগামীদের কাছে মুখ দেখানো কঠিন হয়ে পড়ছিল।
উল্লেখ্য, গত ১২ অগস্ট মুচিপাড়া থানা এলাকায় একটি গোলমাল হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানে তিনি উস্কানি দিয়েছিলেন। যার ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিলেন সজলকে। তখন থেকেই গেরুয়🍒া রাজনীতিতে নতুন করে খ্যাত হয়ে যান তিনি। আবার এই নিয়ে তাঁর ভাবমূর্তি জোর ধাক্কা খায়। তাই পুরসভা নির্বাচনের টিকিট পেতে শুরু থেকেই সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন সজল বলে খবর। শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল থাকায় এবং তাঁদের সুপারিশেই সজল ঘোষ পেলেন টিকিট বলে বিজেপির অন্দরের খবর।
এবার কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেখানে তরুণ মুখ ৪৫, মহিলা ৫০। আইনজীবী রয়েছেন পাঁচজন, চিকিৎক তিনজন, শিক্ষক চারজন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ৬৪ জন মহিলাকে এই নির্বাচনে প্রার্থী করেছে। পুরসভা নির্বাচনের টিকিট পেতে অনুগামীদের দিয়ে নানা কৌশল করেছিলেন সজল ঘোষ বলে সূত্রের খবর। এবার বিজেপি পুরনো নেতাদের প্রার্থী করেছে। সেখানে অগ্রাধিকার ছিল, টিকিট তাঁরাই পাবেন যাঁদের এলাকায় ভাল পরিচিতি রয়েছে এবংღ দলের কাজে নিয়মিত। সেক্ষেত্রে সজল ঘোষ এই নীতির সঙ্গে যায় কিনা তা বিজেপি নেতারাই বলতে পারবেন বলে মনে করছেন রাজ♊নৈতিক কুশীলবরা।