বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেথে সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিয়ে রীতিমতো হিমশিম🅰 খাচ্ছে বঙ্গ–বিজেপি। আর তাই আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর তারিখের ‘নবান্ন অভিযান’ কর্মসূচিকে একপ্রকার পাখির চোখ করতে চাইছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। বিজেপি সূত্রে খবর, নবান্ন অভিযান কর্মসূচির সাফল্য কিংবা ব্যর্থতার উপরই দলের জেলা সংগঠনগুলির হালহকিকত বিচার করতে চাইছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তা খতিয়ে দেখার পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু ভাঙা সংগঠনে কি তা সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন।
কী পদক্ষেপ করেছে বঙ্গ–বিজেপি? সূত্রের খবর, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযান কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই দলের প্রত্যেক জেলা সংগঠনকে জমায়েতের ‘টার্গেট’ দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের উপরই দলে𒆙র রাজ্য নেতৃত্ব এবং রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা সংগঠনের হালহকিকতের অনেকটাই বুঝে নিতে চাইছেন। সেখানে জেলার নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন এই ভাঙা সংগঠন নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা করা যেতে পারে। এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জোর করা যাবে না।
আর কী জানা যাচ্ছে? বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গ–বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কারা থাকবেন, তা নিয়ে ধোঁয়꧟াশা রয়েছে। কারণ কেউ উপস্থিত থাকবেন বলে কথা দেননি। সুতরাং নিজেদের মুরোদেই গোটা বিষয়টি করতে হবে। তাতে ব⭕্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ জেলা সংগঠন তৈরি হয়নি। অথচ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা। দলীয় নেতারা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন, কর্মসূচি সফল করতে না পারলে মুখ রক্ষার জন্য বিকল্প পথের সন্ধান করতে হবে। নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসতে পারেন রাজ্য বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল। শুক্রবার পর্যন্ত তিনি থাকবেন। সূত্রের খবরꩲ, সম্ভবত ১৩ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচিতে তিনি উপস্থিত থাকবেন না।