‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনিতে ফের ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতেই তাল কাটে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের ‘পরাক্রম দিবস’ অনুষ্ঠানের। নেতাজি সুভাষচ💖ন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে রামধ্বনি শুনে ক্ষুব্ধ হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি ভাষণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাজ্যের শাসকদল, এমনকী বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিএম তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সংমর্থন জানালেও এই গোটা ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি–র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইটে লিখেছেন, ‘জয় শ্রী রাম স্লোগানে স্বাগত জানানো হয়েছে তাঁকে। কিন্তু সেটাকে অপমান হিসেবে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যা♐য়। এ কেমন রাজনীতি?’ বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা না দেওয়ার ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘শুধুমাত্র ‘কিছু’ ভোটারকে সন্তুষ্ট করার মানসিকতায় তিনি এই আচরণ করলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণ বাঙালি হিসেবে আমাদের মাথা লজ্জায় হেঁট করে দিয়েছে।’
সায়ন্তন বসুর কথায়, ‘এতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেগে যাওয়ার কী কারণ তা বুঝে উঠতে পারছি না। কেউ তো আর ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গো ব্যাক’ বা ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হায় হায়’ বলেনি। কেউ ‘তৃণমূল হঠাও ব🥂াংলা বাঁচাও’ স্লোগানও দেয়নি। শুধু ‘জয় শ্রী রাম’ বඣলেছেন। আর তাতেই তিনি রেগে গেলেন।’ সায়ন্তনের মতে, ‘বাংলা, উত্তরপ্রদেশ, বিহারের গ্রামে–গঞ্জে, শহরে সাধারণ মানুষ রামের নাম নিয়ে থাকেন। এতে এত রেগে যাওয়ার কী আছে? তিনি তো এড়িয়ে যেতে পারতেন।’
একই মত রাজ্য বিজেপি–র মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের। তিনি বলেন, ‘মুখ্🐎যমন্ত্রী আমাদের লজ্জিত করলেন। ‘জয় শ্রী রাম’ বলে তাঁকে মোটেও অপমান করা হয়নি। আজ যে মা দুর্গাকে আমরা পুজো করি সেই দেবীর পুজো শুরু করেন শ্রী রামচন্দ্র।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে অগ্নিমিত্রার কটাক্ষ, ‘কয়েক মাস আগে যেভাবে গাড়ি থেকে নেমে তিনি তেড়ে গিয়েছিলেন কতগুলো ছেলের দিকে, প্রশ্ন করছিলেন, কে বলল জয় শ্রী রাম, সেই ঘটনার কথাই আজকে তিনি মনে করালেন।’
যদিও এ ঘটনায় অন্য বিজেপি নেতাদের তুলনায় ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের গলায়। তিনি এদিন বলেন, ‘এই ধরণের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে এই স্লোগান দেওয়া অনভিপ্রেত, দুর্ভাগ্যজনক। এটা সমর্থনযোগ্য বিষয় নয়। কিন্তু নেতাজির উচ্চতার কাছে এই 🌺সব কিছুই তুচ্ছ ঘটনা।’
একইসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানটি অপসংস্কৃতি নয়। এই স্লোগানে কি কোনও অশালীন শব্দ আছে? সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আজ ‘জয় শ্রী রা💎ম’ বলছেন। তবে এই অনুষ্ঠানে এই স্লোগান মানানসই নয়। এর মধ্যে কাউকে ছোট করার বা বড় করার ব্যাপার নেই। আমার শুধু এটুকুই বক্তব্য যে✤ নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে এই বিতর্কটি না হলেই ভাল হত।’