কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ভোট লুঠ হয়েছে। এই দাবি তুলেছে বিজেপি। তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠোকা হয়েছে। রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানানো হয়েছে। পুলিশকে গালিগালাজ করা হয়েছে। আবার একই মঞ্চে দেখা গেল, সিপিআইএম–কংগ্রেস–বিজেপিকে। কলকাতার রাজপথে অচেনা📖 ঐক্য দেখেছেন সকলে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ছুটে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। আর আজ, সোমবার বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজজুড়ে বিক্ষোভ মিছিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ কলকাতায় বিজেপির রাজ্য দফতর ৬ নম্বর মুরলিধর সেন লেন থেকে মিছিল বের করা হবে। সেই মিছিল কোথা থেকে কোথায় যাবে তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি। ফলে আবার বড় কোনও গণ্ডগোল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই মিছিলে সমস্ত রাজ্য পদাধিকারী,💧 রাজ্য কমিটি সদস্য, জেলা সভাপতিদের অংশ নিতে বলা হয়েছে।
আজ দুপুর ৩টে থেকে এই মিছিল শুরু হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ভোট লুঠ হয়েছে বলে দাবি তুলে প্রতিবাদে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে পুনর্নির্বাচনের দাবি খারিজ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাই মিছিলের ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে ওই দফতরের সামনে। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। তার আগে এই মিছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ🧸।
এই নির্বাচনের আগে শুধু ১০টি ওয়ার্ড জেতার নিদান দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখনই বোঝা গিয়েছিল এই নꦉির্বাচনে তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জায়গায় নেই। আর নির্বাচনের ঠিক প্রাক্কালে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, একজন বিজেপি নেতা–কর্মীর গায়ে হাত পড়লে বুঝিয়ে দেব বিজেপি কি জিনিস। আর এখন নির্বাচন শেষে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে চাইছেন তাঁরা।
বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারꦺ আদালতে যাওয়া নিয়ে বলেন, ‘পুরসভা নির্বাচনটাকেই বাতিলের দাবি করেছি। ২৩ তারিখে ওকলকাতা হাইকোর্টে আমরা গোটা বিষয়টি জানাব। কারণ কলকাতা হাইকোর্ট প্রত্যেকটি বুথে সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিল। আমরা ৬ হাজার বুথের সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক অডিট চাইব।’