বিজেপির অন্দরে এখন মহা–বিদ্রোহ চলছে। মতুয়াদের পাঁচ বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লেফট করেছেন। এছাড়া আরও অনেকে করেছেন। বিক্ষুব্ধরা পৃথক বৈঠক করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। বিজেপির অন্দরে তুমুল অশান্তি চলছে। এই পরিস্থিতিতে সংগঠন ভাঙতে শুরু করেছে। তবে মতুয়াদের নিয়ে গঠিত সংগঠন যাতে না ভাঙে তাই ক্ষোভ প্রশমনে বার্তা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? সোমবার তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘শুধু মতুয়ারা নন, বিজেপি আমলে সবাই নাগরিকত্ব পাবেন। সিএএ করতে অনেক সময় লেগেছে। আপনাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে। বিজেপি কাজটা করছে। বাংলায় প্রায় তিন কোটি মানুষ পূর্ববঙ্গ থেকে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথার উপর ভরসা রেখে তাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। কাজ করতে একমাত্র বিজেপিই পারবে।’ সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির পদাধিকারী এবং জেলা সভাপতিদের মধ্যে মতুয়া প্রতিনিধি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর–সহ বেশ কয়েকজন বিধায়ক। এই পরিস্থিতির মধ্যে রবিবার মতুয়া মহাসংঘের বৈঠকে ফের সিএএ কার্যকর করার দাবি উঠেছে। ফলে চাপে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ কার্যকর হয়ে যাবে।’উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের প্রচারে ঠাকুরনগরে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, করোনাভাইরাসের টিকাকরণের পরেই নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হবে। যদিও বাংলায় ধাক্কা খাওয়ার পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসভায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে বলেছিলেন, এখন সিএএ বিধি প্রয়োগ করা হবে না। তা নিয়ে তখন থেকেই বিস্তর গোল বাঁধে বিজেপির অন্দরে। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের বৈঠকে সিএএ নিয়ে সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।