দিলীপ ঘোষ আছেন দিলীপ ঘোষেই। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে রাজ্য নেতারা যাই বলুন, তিনি তাতে পাত্তাই দেন না। তিনি নিজের মতোই চলছেন। আর তাতেই আলোড়ন পড়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে দিলীপ ঘোষকে যেতে হয়েছে মিজোরামে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জিতিয়ে ক্ষমতায় আনতে হবে। তার জন্য চলছে বুথ স্বশক্তিকরণ কর্মসূচি। দিলীপ ঘোষ এখড় সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি। তাই এই কাজে অসম, মিজোরাম, মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশের মতো রাজ্যে দলের বুথকে মজবুত করার দায়িত্ব পড়েছে তাঁর উপর। কিন্তু বাংলা নিয়ে☂ তিনি নাছোড়বান্দা।
বিষয়ট𝓰ি ঠিক কী ঘটেছে? দিলীপ ঘোষ এখন মিজোরামে গেলেও তাঁর মন পড়ে রয়েছে বাংলায়। তাই তিনি মিজোরামে বসে বঙ্গ–রাজনীতির সলতে পাকানো ছাড়ছেন না। মিজোরাম থেকে টুইট করলেন তিনি। রাজ্যের শিক্ষা দূর্নীতি নিয়ে কারও কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তিনি যেন সেটা দিলীপ ঘোষকে ই–মেইল করেন। অভিযোগের সমর্থনে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণাদি পাঠাতে ইতিমধ্যেই ই–মেইল আইডি দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
বিতর্কটি ঠিক কী নিয়ে? এই ই–মেইল আইডি দেওয়া নিয়েই রাজ্য বিজেপির অন্দরে বি🃏তর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ দিলীপ ঘোষ এখন আর রাজ্য নেতা নন। শিক্ষা দূর্নীতি ইস্যুতে এমন উদ্যোগ আগে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজেই নিয়েছেন। তারপরেও কেন পৃথক উদ্যোগ নিল𝐆েন দিলীপ? রাজ্য বিজেপির সরকারি ই–মেইল থাকা সত্বেও ব্যক্তিগত ই–মেইলে পাঠানোর কথা বললেন কেন দিলীপ? এই সব প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য বি♛জেপির এক নেতা বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ ছিলেন রাজ্য বিজেপির কান্ডারী। দলের একমাত্র মুখ। কিন্তু এখন তা নন দিলীপ। এটা আসলে জেনে বুঝে দিলীপের জলঘোলা করার নতুন চাল।’ যদিও প্রকাশ্যে দিলীপের এই প্রয়াসের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘ভালই তো দিলীপ দা কিছু করলে সেটা ডাবল বেনিফিট হবে দলের।’