ﷺ এসএসসি-র ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল সংক্রান্ত মামলার রিভিউ পিটশনে আজ (বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫) সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে আশার আলো দেখছে রাজ্য। শীর্ষ আদালত এদিন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্যানেলভুক্ত যে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের নিয়োগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ ওঠেনি, তাঁরা আপাতত নিজেদের স্কুলের যেতে পারবেন এবং পড়ুয়াদের পড়াতে পারবেন। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রাজ্য সরকার। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। যদিও তিনি মনে করেন, সুপ্রিমকোর্টের এই নির্দেশ 'আপতকালীন স্বস্তি!'
𓄧উল্লেখ্য, এর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের নির্দেশে ২০১৬ সালের প্যানেলটি প্রায় সম্পূর্ণই বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে চাকরি হারান প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী ও অশিক্ষক কর্মচারী। সেই রায় পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ফের রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়।
⛦সেই আবেদনের শুনানি হয় আজ। তাতে আদালত জানিয়েছে, কেবলমাত্র সেই শিক্ষক শিক্ষিকারাই (অ্য়াসিসট্যান্ট টিচার পদে থাকা), যাঁরা 'দাগী' নন, তাঁরা আপাতত কাজে যোগ দিতে পারবেন। কিন্তু, শিক্ষাকর্মী ও অশিক্ষক কর্মচারীরা সেই সুযোগ পাবেন না। কারণ, আদালতের পর্যবেক্ষণ হল - এক্ষেত্রে গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মীদের নিয়োগে বড়সড় অনিয়ম হয়েছে।
🌱এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের উদ্দেশে বার্তা দেন, 'আপনারা দয়া করে কাজে ফিরুন। মহামান্য আদালত যা রায় দিয়েছে, আমার মনে হয়, সেই নির্দেশ অনুযায়ী আপনাদের এখন পড়ুয়াদের কথা ভাবা উচিত এবং নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ফেরত যাওয়া উচিত।'
෴যদিও, আদালতের এদিনের নির্দেশও সমস্ত চাকরিহারাকে খুশি করতে পারেনি। তাঁদের একাংশ আন্দোলন জিইয়ে রাখার পক্ষপাতী হলেও শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, 'আপাতত সাময়িক স্বস্তি মিলেছে। এখন আন্দোলন স্তিমিত হওয়া উচিত। তবে বিরোধীরা তা হতে দিচ্ছেন না।'
ℱকিন্তু, এই আইনি অগ্রগতি ব্রাত্য় বসু 'ইতিবাচক' হিসাবেই দেখছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, 'আমি প্রথম দিন থেকেই বলেছিলাম, চাকরিহারাদের জন্য এখনও ইতিবাচক ভাবনার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। মাঝে কসবায় একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তবে আজ সেই ইতিবাচকতার প্রথম সদর্থক পদক্ষেপটি লক্ষ করা গিয়েছে। আপনারা ধৈর্য্য ধরুন। যতক্ষণ না মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে শিক্ষকদের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে পারছি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা চেষ্টা করব। আমরা সর্বতোভাবে আপনাদের সঙ্গে আছি।'
🌠একইসঙ্গে ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, তাঁদের সরকার চাকরিহারা শিক্ষাকর্মী ও অশিক্ষক কর্মচারীদেরও পাশে আছে। ব্রাত্যর বার্তা, রাজ্য শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষাকর্মীদেরও পাশে আছে। আইনি পথে এরপর যে যে ধাপ আছে, তার সবই করা হবে।
ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚএর পাশাপাশি ব্রাত্য এও জানিয়েছেন যে আগামী ২১ এপ্রিলের মধ্য়েই এসএসসি যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করবে। সামগ্রিকভাবে এদিনের সুপ্রিম নির্দেশ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, 'আপতকালীন স্বস্তি পাওয়া গিয়েছে। আমাদের জন্য এই রায় অল্প হলেও আশাব্যঞ্জক।'