অফিসটাইমে দাঁড়িয়ে থেকে বাস মিলছে না𒀰। এই অভিযোগ বহু নিত্যযাত্রীর। যার জেরে পরে আসা বাসে বাদুরঝোলা ভিড় হয়। আর তাতে করেই যেতে হয় অফিস–কাছারিতে। তারই মধ্যে খবর, কিছু বাসের রুট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার ২০২৪ সালে বাতিল হতে পারে আড়াই হাজারের বেশি বেসরকারি বাস। এটা অবশ্য আগেই জানা গিয়েছিল। আদালতের নির্দেশ মেনে হতে পারে এটাই। তাই বছরের শুরু থেকেই আশঙ্কার মেঘ দেখছেন বেসরকারি বাসের মালিকরা।
এদিকে একটি মামলার প্রেক্ষিতে আদালত নির্দেশ দেয়, ১৫ বছরের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়া কোনও বাসই আর শহরে চালানো যাবে না। শহর কলকাতার পরিবেশ দূষণ ঠেকাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এই বিষয়ে সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট দূষণের নিরিখে একটা রায় দেয়। সেখানে বলা হয়, যে বাণিজ্যিক গাড়ির বয়সসীমা ১৫ বছর তা চ💖ালানো যাবে না। ব্যাঙ্ক তখন ঋণ দেওয়ায় গাড়ি নামাতে পেরেছিলেন অনেকে। তখন যে পরিস্থিতি ছিল তাতে নতুন গাড়ি রাস্তায় নামিয়ে আয়–ব্যয়ের সমতা রক্ষা করা যাচ্ছিল। আর রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়ে অনুদান দিয়েছিল। তাই ২০০৯ সালে গাড়ি বাতিল হলেও তার প্রভাব পড়েনি।’
অন্যদিকে বেশ কিছু রুটে এই কারণে বাস মিলবে না। তাতে সমস্যায় পড়বেন যাত্রীরা। এই বিষয়ে টিটু সাহার বক্তব্য, ‘১৫ বছর 𝔉পর আগামী অ✤গস্ট, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে বাসগুলি বসে যেতে পারে। তাই নতুন গাড়ি দিয়ে অভাব পূরণ করতে হবে। কিন্তু এখন ব্যাঙ্ক ঋণ দিতে আগ্রহী নয়। তাই পরিস্থিতি জটিল। তাই বাস মালিকরা গাড়ি নামানোর আগ্রহ হারাচ্ছেন। রাজ্য সরকারের অবস্থান জানা যায়নি। সুতরাং ধরে নিচ্ছি ২০২৪ সালের মাঝপথ থেকে যাত্রী পরিবহণে সংকট দেখা দেবে। রাজ্য সরকারকে অনেক বেশি উদ্যোগী হতে হবে।’
আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় পুলিশের মর্মান্তিক ܫমৃত্যু, আবগারি দফতরের গাড়ি ধাক্কা মারল পুরুলিয়ায়
ঠিক কী বলছেন পরিবহণমন্ত্রী? ২০০৯ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকার অনুদান দিয়েছিল। এখন রাজ্য সরকার কি অনুদানের পথে হাঁটবে? এই বিষয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘এই মুহূর্তে তেমন কোনও ভাবনাচিন্তা নেই।’ তাহলে বাস রাস্তা থেকে উঠে গেলে কী হবে? যাত্রীরা এখন♔ থেকেই আশঙ্কায় ভুগছেন। কারণ সব রুটে তো মেট্রো পরিষেবা নেই। বাসের উপর 🍌তাই নির্ভর করতেই হয়। আড়াই হাজারের বেশি বাস উঠে গেলে জোর ধাক্কা খাবে শহরের গণপরিবহণ বলে মনে করা হচ্ছে।