ভোট পরবর্তী হিংসায় এক বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায় পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ ওঠা সত্বেও শুধুমাত্র অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। তা জানার পরে র💛ীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। খুনের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন এফআইআর দায়ের করা হয়নি? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী ⛄হিংসায় আদালত অবমাননা মামলা, শুনতে ๊৫ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় খুন হয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই বিজেপি কর্মী। ওই বছরের অগস্ট পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বিজেপি কর্মী শ্রীকান্ত পাত্রকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। পরিবারের অভিযোগ ছিল, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে খুন করেছিল। এই ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাতে লাভ হয়নি। উলটে পুলিশ তাদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এমনকী বিজেপি কর্মীর পরিবারকে বারবার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় অꦍভিযোগ নিতে চাইনি পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, পালটা পুলিশ তাদের বাড়ি গিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিতে চেয়েছিল এবং এটিকে নিছক দুর্ঘটনা বলে প্রমাণ করাতে চেয়েছিল। এরপর ২৬ অগস্ট পরিবারের তরফ থেকে আইসি, এসডিপিও, পুলিশ সুপার এবং সিবিআইয়ের কাছে লিখিত অভ෴িযোগ জানানো হয়।
এরপরেও কোনও পক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। শেষে এসডিপিওরღ তরফে এই খুনের ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করা হয়। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়। সেই সংক্রান্ত মামলাটি শুক্রবার ওঠে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এত বড় খুনের ঘটনা হওয়া সত্ত্বেও কেন এফআইআর করা হয়নি?’ তখন তিনি সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে বিচারপতি। প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে একাধিক ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ না নেওয়া বা নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। এই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলাতে আগেও পুলিশকে হাইকোর্টের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল।