‘পুরুষ দেবতাদের সঙ্গে লিঙ্গ বৈষম্য কেন?’ পুজোর অনুমতি সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই প্রশ্ন করল কলকাতা হাইকোর্ট। দুর্গাপূজার অনুমতি মিলেছে, কিন্তু গণেশ পুজোর অনুমতি মিলছে না। সেই সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, ‘দুর্গাপুজো করা গেলে কেন গণেশ পুজো করা যাবে না। এতো পুরুষ দেবতাদের সঙ্গে লিঙ্গ বৈষম্য। এটা কেন হবে?’ শেষমেষ যেখানে গণেশ পুজোর অনুমতি কলকাতা হাইকোর্ট। আসানসোল দুর্গাপুর ডেভলপমেন্ট অথোরཧিটি সেখানে গণেশ পুজোর অনুমতি না দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আয়োজকরা।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ বা পকসো আইনের অপব্যবহার সমাজের জন্য শুভলক্ষণ নয়: হাইকꦏোর্ট
মামলার বয়ান অনুযায়ী, দুর্গাপুরের চতুরঙ্গ ময়দানে প্রায় ৯ বছর ধরে গণেশ পুজো হয়ে আসছে। সেখানে গণেশ পুজো শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে এই পুজো হয়ে আসছে চতুরঙ্গ ময়দানে। শুধু গণেশ পুজো নয়, এখানে দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন ধরনের সরকারি অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এবারের দুর্গাপুজোর জন্য গত ডিসেম্বর মাসেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে সরকারি অনুষ্ঠান করার জন্য অনুমতি দিয়েছিল আꦜসানসোল দুর্গাপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটি। কিন্তু, গণেশ পুজোর বেলায় আপত্তি জানায় অথরিটি। তাই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আয়োজকরা। তাদের বক্তব্য , দুর্গাপুজোর অনুমতি দেওয়া হল তাহলে কেন গণেশ পুজোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সেই মামলা প্রসঙ্গেই বিচারপতির মন্তব্যে উঠে আসে দেবতাদের মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্যের বিষয়টি। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, সরকারি অনুষ্ঠান এবং দুর্গাপুজোর অনুমতি দিলে গণেশ পুজোর অনুমতি কেন দেওয়া হচ্ছে না। যদিও আসানসোল দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্টের আইনজীবীর যুক্তি, দুর্গাপুজো আধা ধর্মনিরপেক্ষ অনুষ্ঠান। এর পরে আইনজীবী সংবিধানের কথা উল্লেখ করে বলেন, যে কোনও জায়গায় ধর্ম আচরণ মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না। তখন পালটা সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের সমান অধিকারের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রশ্ﷺন করেন, দুর্গাপুজোর অনুমতি দেওয়া হলে অন্য ধর্মের উৎসবকে কেন অনুমতি দেওয়া হবে না? গণেশ পুজোরই বা কেন অনুমতি দেওয়া হবে না। যদিও শেষমেষ ওই মাঠে গণেশ পুজোর অনুমতি দেন বিচারপতি।
আদালতের নির্দেশ পুজো সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ২২ সেপ্টেম্বর মাঠ ফাঁকা করে আসানসোল দুর্গাপুর🦩 অথরিটিকে ফেরত দিতে হবে। প্রসঙ্গত, আগামী মাসে দুর্গাপুজো। তার আগে গণেশ পুজো। এদিন আদালতের এই রা♋য়ের পরেই আয়োজকরা দুর্গাপুরে গণেশ পুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু করে দেয়। আদালতের এই রায়ে তারা খুশি।