২০২০ সালে গোটা বিশ্বে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল করোনাভাইরাস। লক্ষ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হয়েছিলেন এই ভাইরাসে। রাজ্যেরও কয়েক লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে এই ভাইরাসের মোকাবেলায় শুরু হয়েছিল টিকাকরণ কর্মসূচি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বহু স্বেচ্ছাসেবক টিকাকরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। টিকাকরণের সঙ্গে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের দৈনিক ৫৫০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেক্ষেত্রে পুরুলিয়া জেলা ছিল ব্যতিক্রম। সেখানে খু🌱ব🐭ই কম ভাতা দেওয়া হয়েছিল। এই বৈষম্য থাকায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুরুলিয়ার স্বেচ্ছাসেবকরা। সেই সংক্রান্ত মামলায় পুরুলিয়া স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দিষ্ট হারে ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
ভাতায় বৈষম্যের অভিযোগ তুলে এর আগে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা। কিন্তু, সুরাহা না মেলায় শেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। মামলাটি ওঠে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, যেখানে ব♍াকি জেলার স্বেচ্ছাসেবকদের ৫৫০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়েছে সেক্ষেত্রে পুরুলিয়ায় কেন ব্যতিক্রম ছিল? যদিও তার কোনও উত্তর দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। আবেদনকারীদের আইনজীবী জানান, টিকাকরণ কর্মসূচিতে ৮টি জেলায় স্বেচ্ছাসেবক নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে বাকি জেলাগুলিতে স্বেচ্ছাসেবকদের দৈনিক ৫৫০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হলেও পুরুলিয়ার স্বেচ্ছাসেবকদের দৈনিক ৯০ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। এর আগেও একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় বিচারপতি রাজ্য সরকারকে বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছিল।
এই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, পুরুলিয়ায় টিকাকরণে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের ৫৫০ টাকা করে ভাতা দিতে হবে এবং বকেয়া মেটাতে হবে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য অধিকারি🌠ককে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। উল্লেখ্য, রাজ্যে কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে। প্রথমে চিকিৎসক স্বাস্থ্য কর্মীদের টিকা দেওয়া হয়। এরপর সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়া শুরু হয়। হাইকোর্টের এই রায়ে খুশি স্বেচ্ছাসেবকরা। এখন এই নির্দেশ কার্যকর হওয়ার জন্য অপরেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।