আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে ১ অক্টোবর বিকেলে কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্𒊎দ্রসদন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন। পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। তাই আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হলে শুনানিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ শর্তসাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দেন। শর্ত, নির্দিষ্ট রুটেই মিছিল হবে। নামাতে হবে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক।
গত শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের পক্ষ থেকে চিকিৎসকরা জানান, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। তার প্রতিবাদে ১ অক্টোবর কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদনꦅ পর্যন্ত মিছিল হবে। কদিন আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর শহরের নির্দিষ্ট কিছু অংশে জমায়েত করা যাবে না𝔍। ওই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।
আরও পড়ুন: বন্যা ত্রাণের সরকারি ত্রিপল ব্যবহার পুরসভার চেয়ারম্যানের দুর্গাপুজোয়, মেমারিতে হইচই
এবার কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি চেয়ে মামলা হয়। তার শুনানি হয় আজ। সোমবার মামলা কলকাতা হাইকোর্টে উঠলে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচা🌳র্য বলেন, ‘কলেজ স্ট্রিট থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত ডাক্তাররা মিছিল করতে চায়। তবে কেসি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস হয়ে বেন্টিক স্ট্রিট পর্যন্ত ১৬৩ ধারা জারি। তাই বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে মিছিলের কোনও সংঘাত হবে না। কম লোকের শর্তে পুলিশ অনুমতির আশ্বাস দিয়েছে। ডাক্তারদের মিছিলে ৫০ হাজার লোক হতে পারে বলে পুলিশকে জানিয়েছি। পাল্টা পুলিশ ১ হাজার লোক নিয়ে মিছিলের কথা বলছে। বাইরে থেকে মানুষ মিছিলে যোগ দিলে তাঁদের কী করে নিয়ন্ত্রণ করব?’
বিকাশের সওয়ালের প্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কেমন করে বন্ধ করবে পুলিশ?’ রাজ্যের যুক্তি, ‘১ হাজার লোক নিয়ে যদি মিছিল করা হয় সেক্ষেত্রে আপত্তি নেই।’ বিচারপতি পাল্টা বলেন, ‘এক কাজ করুন গোটা শহরে আপনারা ১৪৪ ধারা জারি করুন। তাহলে কোনও আন্দোলন মিছিল, মিটিং হবে না। দুর্গাপুজো হবে না। অথচ এই শহরে আমি ৫০ বছরের কাটানো জীবনে দেখেছি মিছিল মিটিং চলে, পুলিশ নিজের মতো করে তা সামাল দেয়। আমিও মানছি ৫০ হাজার লোক রাস্তায় নামলে সমস্যা হবে। কিন্তু সুরক্ষা দেওয়া তো পুলিশেꦏর কাজ।’ রাজ্য পাল্টা আদালতে জানায়, ‘আমরা কাউকে নিষেধ করছি না। আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছি।’ বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বলেন, ‘দুর্গাপুজোয় কত ভিড় হবে সেটা কী করে আন্দাজ করে পুলিশ? গত বছর সুরুচি সংঘে দেখেছি পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা হাজার হাজার লোকের ভিড় সামলেছে। সেটা কেমন করে হল?’