সিআরপিসির ৪১ডি ধারা অনুযায়ী, জেরার সময় একজন অভিযুক্ত নিজের ইচ্ছের আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই জেরা চলাকালীন পুরো সময় আইনজীবী অভিযুক্তের সঙ্গেই থাকতে চান। এই আবহে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কꦚরল কলকাতা হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বললেন, ‘জেরা চলাকালীন পুরো সময় অভিযুক্তের আইনজীবীকে থাকতে দেওয়া যায় না।’ তিনি জানান, সিআরপিসির ৪১ডি ধারায় কোথাও বলা নেই যে জেরার পুরো সময় আইনজীবী মক্কেলের সঙ্গে থাকতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গেমিং অ্যাপ প্রতারণা মামলার প্রেক্ষিতে দায়রা আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল যে জেরা চলাকালীন পুরো সময় অভিযুক্তের সঙ্গে থাকতে পারবেন তাঁর আইনজীবী। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে পালটা আবেদন করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। সেই আবেদন গ্রহণ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বলেন, ‘সিআরপিসির ৪১ডি ধারার মূল লক্ষ্য হল সংবিধানের ২১ নং ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তের মৌলিক অধিকꦇার রক্ষা করা।’
উচ্চ আদালতের বিচারপতি𓆉 আরও বলেন, ‘ব্যক্তিস্বাধীনতাকে খর্ব করা যায় না। তদন্ত ও বিচারের সময় আইনজীবীর প্রতিনিধিত্বর অধিকার রক্ষা করতে হবে। তবে একই সাথে, সেই মামলার সত্য উদঘাটন এবং তথ্য বা প্রমাণ সংগ্রহের জন্য তদন্তকারী সংস্থার ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। এটাই আদালতের দায়িত্ব।’ অতএব, আদালত বলে যে সিআরপিসির ৪১ডি ধারা-র অর্থ এই নয় যে পছন্দের আইনজীবীকে জেরা চলাকালীন পুরো সময় উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।
এদিকে এܫই মামলাতেই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে ইডি হেফাজতে থাকাকীলন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে হবে প্রতি ২৪ ঘণ্টা অন্তর। তবে আদাতের ไসেই নির্দেশের বিরোধিতা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের দাবি, নিম্ন আদালতের এই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকাকে লঙ্ঘন করে।