অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিধিলিপি লেখা হতে চলেছে মঙ্গলবার। এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সংসদের এথিকস কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠক ডাকার কারণ মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণ বলে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে।গত মাসে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা ও উপহার নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লোকসভায় প্রশ্ন তোলার অভিযোগ ওঠে। এমনকী সাংসদদের যে পোর্টালে লোকসভা ও রাজ্যসভায় প্রশ্ন উত্থাপন করতে হয় তার ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড তিনি দর্শন হীরানন্দানিকে দিয়ে দেন বলে অভিযোগ। পরিবর্তে মহুয়াকে নানা দামি উপহার ও বিদেশযাত্রার খরচ বহন করেন মুম্বইয়ের ওই নির্মাণব্যবসায়ী।মহুয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রথম প্রকাশ্যে আনেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক জয় অনন্ত দেহদ্রাই। তার পর তা নিয়ে সরব হন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় সংসদের এথিকস কমিটি। এব্যাপারে ইতিমধ্যে কমিটির কাছে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছেন জয় ও নিশিকান্ত। এক স্বতঃপ্রণোদিত হলফনামায় জয়ের করা প্রায় সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন ব্যবসায়ী হীরানন্দানি। গত ২ নভেম্বর কমিটির তলবে হাজিরা দেন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু তাঁকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে জিজ্ঞাসাবাদ থেকে ওয়াক আউট করেন তিনি।অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে সাংসদ পদ তো যাবেই, সঙ্গে ভোটে প্রতিদ্বন্দিতা করার অধিকার হারাতে পারেন মহুয়া। এমনকী সংসদের পোর্টালের গোপনীয় পাসওয়ার্ড ফাঁস করে দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে হতে পারে ফৌজদারি মামলা। এমনকী প্রয়োগ করা হতে পারে UAPAও।