মাটিয়া গণধর্ষণ মামলায় আপাতত রাজ্য পুলিশের তদন্তেই আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করেছে জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া যেতে পারে রাজ্য পুলিশের কোনও পদস্থ আধিকারিককে।এদিন রাজ্য সরকারের পক্ষে আদালতে জানানো হয়, এই ঘটনার তদন্ত দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। ৫ সদস্যের বিশেষ দল গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। মূল অভিযুক্তসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালিকার চিকিৎসায় রাধাগোবিন্দ কর মেডিক্যাল কলেজে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তবে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থায় সংকটজনক হওয়ায় এখনো বয়ান রেকর্ড করা যায়নি।এই মামলায় গত শুনানিতে রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করেছিল আদালত। সঙ্গে জমা দিতে বলা হয়েছিল কেস ডায়েরি। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের আগবেদন খারিজ করে দেয়। আদালত জানিয়েছে, ‘রাজ্য পুলিশ যেমন তদন্ত করছে করবে। যদি পরে মনে হয় তদন্তে কোনও গাফিলতি রয়েছে তখন সিবিআই তদন্তের কথা ভাববে আদালত।’গত ২৫ মার্চ বসিরহাটের মাটিয়া গ্রামে মাসির বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় ১১ বছরের নাবালিকা। বিকেলে উপহার কিনে দেওয়ার নাম করে তাকে তুলে নিয়ে যায় প্রেমিক। সারা রাত নাবালিকার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে একটি পার্কের পাশে নির্জন জায়গা থেকে উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা। প্রাণ বাঁচাতে গুরুতর যখম ও নাবালিকার যোনিতে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা।