বাংলায় পাসোপোর্ট জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস করল সিবিআই। আজকে বাংলা এবং পড়শি রাজ্য সিকিমে একযোগে ৫০ জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের শীর্ষ কর্তাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সেই কর্তার নাম গৌতম কুমার সাহা। এক হোটেল কর্মীকেও আজ ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা নগদ সহ গ্রেফতার করে সিবিআই। সে দালালের কাজ করত বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই চক্র জাল পাসপোর্ট বের করার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গিয়েছে। বাংলার পাশাপাশি পাহাড়ি রাজ্য সিকিমেও এর জাল ছড়িয়ে ছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মামলায় মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে সিবিআই। (আরও পড়ুন: পুজোয় বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে, আজ মহলায়ার দিন কেমন থাকﷺবে আবহাওয়া?)
সিবিআ👍ই জানিয়েছে, জাল𒁃 নথির ওপর ভিত্তি করে আসল পাসপোর্ট ইস্যু করা হত। এই চক্রে বেশ কিছু দালাল জড়িত ছিল। সঙ্গে সরকারি আধিকারিকও এই জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট অফিসের ১৬ জন আধিকারিকের নাম রয়েছে অভিযুক্তদের তালিকায়। তাঁরা জেনে বুঝে জাল নথির বদলে আসল পাসপোর্ট ইস্যু করে দিতেন। বদলে মোটা টাকার ঘুষ নিতের তাঁরা। জানা গিয়েছে, কলকাতা, শিলিগুড়ি, গ্যাংটকের বহু জায়গায় আজ একযোগে তল্লাশি অভিযান চালানো হয় এই জালিয়াতি চক্রকে ধরতে।
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সিবিআই-এর একটি দল গোপন সূত্রে এই পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের হদিশ পায়। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই আজকের এই তল্লাশি অভিযান। জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে অনেক তথ্য ও নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তা থেকেই জানা গিয়েছে, এই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সরকারি আধিকারিকরাও। সরাসরি পাসপোর্ট অফিসের কর্মীরা ঘুষ নিয়ে পাসপোর্ট জালিয়াতি করে থাকেন। এদিকেꦗ একবার জাল নথির ভিত্তিতে আসল পাসপোর্ট ইস্যু হয়ে গেলে পাসপোর্টধারক অনায়াসে ভারত থেকে অন্য দেশে যেতে পারে। বহু বছর ধরে এভাবেই টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নথির বদলে পাসপোর্ট ইস্যুর এই চক্র চলছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। এই ঘটনায় আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করছেন তদন্তকারীরা। শীর্ষ পর্যায়ে আরও কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া নথি ভালো করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ সংগ্রহের হালা চলছে।