১০০ দিনের কাজ, আবাস প্রকল্পে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার টাকা আটকে রাখার অভিযোগ করেছ𝔍ে রাজ্য। তারইমধ্যে এবার স্বাস্থ্য খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আটকে রাখার অভিযোগ উঠল। প্রায় ৮০০ কোটি টাকা আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্যের। সেই টাকা চেয়ে এবার কেন্দ্রকে চিঠি পাঠাল রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: প্রকল্প খতিয়ে দেখে সন্তুষ্ট কেন্দ্র, 🍌স্বাস্থ্য খাতে বাংলা পাচ্ছে ১🙈৪০০ কোটি
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের সচিব এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। সাধারণত, রাজ্যে ৪৭৪টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৬২টি ব্লক স্বাস্থ্য 🐽কেন্দ্র এবং ২৮ টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির কথা রয়েছে। এর জন্য কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারকে একাধিক কিস্তিতে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্য স🙈রকার প্রাপ্য বকেয়া পায়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে।
নবান্ন সূত্রে জানꦡা গিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৮২৮ কোটি টাকার মধ্যে ৭২৪ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পাওয়ার কথা ছিল ৮২৬ কোটি টাক🥃ার কেন্দ্র সরকার ৪৮৬ কোটি টাকা দিয়েছে। যদিও প্রাপ্য বকেয়া না পাওয়ার কারণ হিসেবে বেশ কিছু কারণ দেখিয়েছে কেন্দ্র। প্রকল্পের নাম বদল হওয়া থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনের রং আলাদা করার কারণে সেই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
যেমন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় রাজ্যের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্রের নীতিতে এর নাম হল আয়ুষ্মান ভারত হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার। তবে রাজ্যে সেটা সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামকরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আবার স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভবনের রং মেটাল হলুদ করতে বলা হয়েছিল আ🍰র তার বর্ডার খয়েরি রঙের করার কথা জানানো হয়𓃲েছিল। কিন্তু রাজ্যে তা হয়েছে নীল-সাদা। আর তাতেই রাজ্যের টাকা পেতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও রাজ্যের তরফে জানানো হয়, কেন্দ্রের নীতিকে কোনওভাবে অমান্য করা হয়𝓰নি। এ নিয়ে ছয় মাস আগে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট কেন্দ্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট না পাঠানো সত্ত্বেও অনেক রাজ্যকে কেন্দ্র টাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে চলতি অর্ধবর্ষে এখনও পর্যন্ত বাংলাকে কোনও বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য, গত ২৩ এবং ২৪ মে রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। এ ছাড়াও তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গ𝓀ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের পরেই চলতি অর্থবর্ষে প্রথম কিস্তির ২৮০ কোটি টাকা দিতে সম্মত হয়েছিল কেন্দ্র সরকার।