বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি মেনে নিয়ে এবার বন্যা ও ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পে নিজেদের অংশের বরাদ্দ নিশ্চিত করল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সম্প্রতি বাংলার নদীপাড় ভাঙন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। এবার জলশক্তি মন্ত্রকের চিঠি পেল রাজ্য। সেই চিঠিতে জানানো হয়, ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বর্ডার এরিয়া প্রোগ্রামের (এফএমবিএপি) আওতাধীন প্রকল্পগুলিতে ৬০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর প্রকল্পের অগ্রাধিকার অনুযায়ী তালি✤কা পাঠাতে বলা হয়েছে রাজ্যকে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান–সহ মোট চারটি প্রকল্প অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করতে চায় রাজ্য বলে কেন্দ্রকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
বন্যা–ভাঙন ঠেকাতে꧅ ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করে এফএমবিএপি কমিটি। সব রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হয় বন্যা ও নদীভাঙন রোধে তাদের প্রকল্প। বাংলা ২০২০ সালের মে মাসে কেন্দ্রকে মোট ৭,৮০০ কোটি টাকার ১১টি প্রকল্পের তালিকা পাঠায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, ২০২১ সালের অগস্টে রাজ্যের মন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লি যায়। আর জলশক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের সঙ্গে দেখা করে। বৈঠক হয় নীতি আয়োগের সঙ্গেও। তারপরে মুখ্যমন্ত্রীওℱ কেন্দ্রকে অনেক চিঠি লেখেন।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন গঙ্গা–ꦅপদ্মা ভাঙনের কারণে মালদহ, মুর্শিদাবাদের এবং নদীয়া জেলার মানুষের দুর্ভোগের কথা। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের ২১টি ব্লক বন্যার কারণে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারও উল্লেখ করেন চিঠিতে। ২৩ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় জলশক্তি বিভাগের চিঠি এসে পৌঁছয় রাজ্য সেচ দফতরে। সেই চিঠিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘জেনারেল ক্যাটাগরির’ রাজ্যগুলির নেওয়া প্রকল্পের জন্য এফএমবিএপি স্কিমের অধীন ৬০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করা হবে। ‘জেনারেল ক্যাটাগরির’ রাজ্যগুলির মধ্যে বাংলাও রয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য যে চারটি প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ১,২৩৮ কোটি টাকার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। আর তিনটি প্রকল্প হল—১০০০ কোটি টাকা মূল্যের আইলা বাঁধের বকেয়া কাজ, কা🍬ন্দি মাস্টার প্ল্যানের বকেয়া সামান্য কাজের জন্য ৮০ কোটি টাকা মূল্যের প্রকল্প এবং কেলেঘাই–কপালেশ্বরী প্রকল্পের কিছু অংশের কাজ, যার জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১৬০ কোটি টাকা।