খাস কলকাতার বুকে জোড়া খুন। অশোক শাহ (৬০) এবং রশ্মিতা শাহ (৫৫) নামে এই ব্যবসায়ী দম্পতিকে সোমবার রাতে ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভবানীপুরের ৭৪এ, হরিশ মুখার্জি 𒀰রোডের একটি তিনতলা বাড়ির একতলায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে থাকতেন। সেখানকারই দু’টি ঘরে পড়ে ছিল দু’জনের দেহ। রাতেই ঘটনাস্থলে যান খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ তথা স্থানীয় কাউন্সিলার কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। পুলিস কুকুর দিয়ে দীর্ঘক্ষণ খুনিদের খোঁজে অভিযানও চলে। আর বেশি রাতে পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী কথা হয়েছে দু’পক্ষের? মুখ্যমন্ত্রী এখন জেলা সফরে আলিপুরদুয়ার গিয়েছেন।🎃 আজ, মঙ্গলবার সেখানে নানা কর্মসূচি রয়েছে। তাই রাতেই খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, রাতে হাসিমারা বনবাংলোয় বসেই পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ভবানীপুরে যে ফ্ল্যাট থেকে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি মা🧔ত্র ৪৫০ মিটার দূরে। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি ঢিলছোঁড়া দূরত্বে! ভবানীপুর থেকেই জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর আবেগ একটু বেশিই থাকবে সেটাই দস্তুর। মিত্র ইনস্টিটিউশ𒊎ন থেকে পাঁচটি বাড়ি পরেই শ🍌াহ দম্পতি থাকতেন। এই স্কুলেই বরাবর ভোট দিতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঠিক কী ঘটেছে ভবানীপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০০৫ সালে ওই বাড়িটি কিনে থাকতে শুরু করেন শাহ দম্পতি। শেয়ার ব্যবসায়ী অশোকবাবুর তিন মেয়ে। ব🥂ড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তিনি ভবানীপুরেই থাকেন। মেজ মেয়ে চাকরি করেন। ছোট মেয়ে টেবিল টেনিসের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। বড় মেয়ে দুপুরে মা–বাবাকে ফোন করে পাননি। সেটা তিনি জানান দুই বোনকে। তাঁরা বাড়ি এসে দেখেন, দরজা ভেজানো। ড্রইং কাম ডাইনিং রুমে পড়ে রয়েছে মায়ের দেহ। বেডরুমে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন অশোকবাবু। আলমারি লণ্ডভণ্ড। পুলিশের অনুমান খুন করা হয়েছে দম্পতিকে।