আপনার বাড়িতে আগত অতিথিদের জন্য মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরি করা হোক বা ডেজার্ট সাজানো, রান্নাঘরের বেশিরভাগ জিনিসেই কিশমিশ ব্যবহার করা হয়। খাবারে কিশমিশের ব্যবহার শুধু এর স্বাদই বাড়ায় না বরং এটিকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। স্বাস্থ্য ও স্বাদের যত্ন নেওয়া এই কিশমিশ আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয়। এটি খাদ্যতালিকাগত ফাইবার এবং প্রাকৃতিক শর্করা যেম🌃ন গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ সমৃদ্ধ, সাথে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। এ ছাড়া কিশꦍমিশে পলিফেনল, অ্যান্থোসায়ানিন এবং ফ্ল্যাভোনলের মতো যৌগের উপস্থিতি এটিকে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী করে তোলে। এই কিশমিশ, যা স্বাস্থ্য এবং স্বাদের যত্ন নেয়, বেশিরভাগ ভারতীয় রান্নাঘরে পাওয়া যায়। কিন্তু মাঝে মাঝে কিশমিশ হঠাৎ ফুরিয়ে যায় এবং আপনি বাজারে যাওয়ার সুযোগ পান না, এমন পরিস্থিতিতে আপনি বাড়িতেই বাজারজাত করা কিশমিশ তৈরি করে নিতে পারেন, যা সহজেই সংরক্ষণ করা যায়। শুধু তাই নয়, ঘরে তৈরি এই কিশমিশে ভেজালও থাকবে না এবং আপনার পকেটও ভারী হবে না। তাহলে চলুন জেনে নিই ঘরে কিশমিশ তৈরি করতে রান্নাঘরের কোন টিপস অনুসরণ করতে হবে।
বাড়িতে কিশমিশ তৈরি করতে এই সহজ রান্নাঘরের টিপস অনুসরণ করুন-
- কিশমিশের জন্য আঙুর কেনার সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন-
বাড়িতে কিশমিশ তৈরি করতে প্রথমে বাজার থেকে আঙুর কিনে নিন। কিশমিশে𝐆র জন্য আঙুর কেনার সময় বিশেষ খেয়াল রাখবেন আঙুর যেন খুব বেশি নরম বা স্বাদে বেশি টক না হয়। নরম আঙ্গুর সিদ্ধ করার সময় ফেটে যায় যেখানে টক ওআঙ্গুর থেকে তৈরি কিশমিশের স্বাদ ভালো হয় না।
- কিশমিশের জন্য আঙ্গুর সিদ্ধ করুন এভাবে-
বাজার থেকে কেনা আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরি করতে প𒊎্রথমে আঙুরের ডাঁটা তুলে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর একটি বড় পাত্রে আঙুরগুলোকে গ্যাসে পানি দিয়ে অল্প আঁচে ফুটিয়ে নিন যতক্ষণ না আঙ্গুর ফুলে উঠে উপরে উঠে যায়। আঙ্গুর🌼 ভালোভাবে ফুটে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে পানি ঝরিয়ে আঙুর শুকানোর জন্য আলাদা করে রাখুন।
- কিশমিশ তৈরি করতে আঙুর শুকিয়ে নিন এভাবে-
আঙুর সেদ্ধ করে একটি বড় পাত্রে বিছিয়ে ৩ থেকে ৪ দিন রোদে শুকাতে 🦂রাখুন। দেখবেন আঙুরগুলো ভালো করে শুকিয়ে✨ কিসমিস হয়ে গেছে।