রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজভবন–নবান্ন সংঘাত লেগেই ছিল। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বারবার টুইট করে রাজ্যের কাজে বাধা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকেও গোয়া থেকে বলতে শোনা 🦂গিয়েছিল, রাজভবনের রাজা। এবার এই সংঘাত দেখা গেল, চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও। যা এখন চর্চার কেন্দ্রে।
এদিন ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী সরাꦜসরি বলে দিলেন, কেন্দ্রের গাইডলাইনই জানেন না রাজ্যপাল। উলটে প্রতিপদে রাজ্যের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই ঘটনায় রাজ্যপাল বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে যান। প্রধানমন্ত্রী গোটা বিষয়টি এদিন মন দিয়ে শোনেন।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিকিৎসকদের কোটা বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একই হাসপাতালের ৭৫ জন চিকিৎসক একসঙ্গে কোভিড আক্রান্ত হলে কীভাবে চলবে বলুন? আপনার 🅘কাছে অনুরোধ চিকিৎসকের কোটা বাড়ান। অফিসারও প্রয়𓆉োজন। কেন্দ্র পরামর্শ দিয়েছে বাইরে থেকে লোক নিতে। সেটা মেনে আমরা কাজ করেছি। কিন্তু তাতে গভর্নর প্রশ্ন করছেন, এমনটা কেন হল? কোন প্রক্রিয়ায় হল? কেন্দ্রের গাইডলাইনই তো জানেন না গভর্নর।’ এই কথা শোনার পর সরাসরি রাজ্যপালকে প্রধানমন্ত্রী কিছু না বললেও তাঁর দিকে তাকান। তাতে অস্বস্তি আরও বাড়ে। কিন্তু রাজ্যপাল মুখ খুলতে পারেননি।
আজ, শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চেই স্বাস্থ্য পরিষেবায় রাজ্যের একাধিক দিক উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বুঝিয়ে দেন রাজ্যের কাজের পরিধি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রের নির্দেশিকা ৯৯ শতাংশ মেনেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যপাল সেসব গাইডলাইন জানেন না। উলটে প্রশ্ন তোলে✤ন।