ইয়াস দুর্যোগের পর তিনি দুয়ারে ত্রান প্রকল্পে দলকে যুক্ত হতে দেননি। বরং প্রশাসনকে যুক্ত করে বিষয়টিকে রাজনীতিমুক্ত করেছিলেন। এবার ‘দুয়ারে রেশন’ কর্মসূচিকে একই ধাঁচে নিয়ে আসতে চান🎐 মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এই প্রকল্পকেও সরকারি নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে জোরদার ভাবনাচিন্তা চলছে প্রশাসনের অন্দরে।
তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দ্বিতীয় দফায় রেশন নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নবান💜্নকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তাই রেশন বণ্টনের পদ্ধতিতে সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা এখনও পর্যন্ত কার্যকর আছে। একুশের নির্বাচনের প্রচারে ‘দুয়ারে রেশন’ কর্মসূচি চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। হ্যাট্রিক করে ক্ষমতায় এসে সেই প্রতিশ্রুতি পালন করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
পরিকল্পনা করা হয়েছে, ওই কাজটি সরকারি নজরদারিতেই পরিচালিত হবে। পদ্ধতি বুঝতে ইতিমধ্যেই কয়েকটি জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে রেশনౠ বিলি করেছে খাদ্য দফতর। যাকে পাইলট প্রজেক্ট ব🦂লা হচ্ছে। এই কাজে লাগানো হয়েছে রেশন ডিলারদেরই। তাদের আবার মনিটরিং করার জন্য কমিটি থাকছে। প্রতিটি বিষয় পরিসংখ্যান দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। যাতে কেউ দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে না পারেন।
এবার রেশনসামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার তোড়জো✤ড় শুরু হয়েছে। বেশ কয়েক কোটি উপভোক্তার বাড়িতে রেশন পৌঁছে 🗹দিতে হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় মাথাপিছু পাঁচ কেজি চাল প্রতি মাসে পেয়ে থাকেন উপভোক্তারা। সেই হিসেব অনুযায়ী প্রতিটি পরিবারে ২০–২৫ কেজি চাল পাঠাতে হবে। রেশন ডিলারদের এই কাজে লাগাতে খাদ্য দফতরে জোর চর্চা চলছে।
এখন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশন তোলার পদ্ধতি কার্যকর করা হচ্ছে। ফলে ইচ্ছুক উপভোক্তার রেশনসামগ্রী বেহাত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। ‘দুয়ারে রেশন’ কর্মসূচিতে এই প্রযুক্তি অতিরিক্ত রক্ষাকবচের কাজ করবে বলেই দাবি 💞আধিকারিকদের। গ্রামেগঞ্জে এবং শহরে এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতেই এমন নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে খবর।