গত ১৬ মে এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল। এই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল সব মিলিয়ে ১২ জনের। বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগেরও মৃত্যু হয়েছিল ওড়িশায়। এই ঘটনাকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে শনিবার সেই এগরায় যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে শুক্রবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হল । খোদ মুখ্যসচিব জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার সহ পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন মুখ্যসচিব। এদিনের মিটিংয়ে বাজি সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।তবে সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর শালবনি যাওয়ারও কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী শনিবার প্রথমে এগরা যেতে পারেন। সেখানে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিয়ে তিনি শালবনি যেতে পারেন বলে খবর। এদিকে আগামীদিনে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেব্যাপারে সবরকম উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মূলত যারা বাড়িতে বাজি বানাচ্ছেন তাদের নিয়েও চিন্তা। সেকারণে যারা বাড়িতে বাজি বানাচ্ছেন তাদের অন্যত্র সরানো যায় কি না, সেক্ষেত্রে জায়গা কীভাবে পাওয়া যাবে তা নিয়েও একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে সবদিক বিবেচনা করা হয় সেব্যাপারে কথাবার্তা হয়েছে। জনবসতিপূর্ণ জায়গায় বাজি যাতে কোনওভাবেই তৈরি না হয় সেব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই এগরা সফরের পরিকল্পনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কটাক্ষ, কাল ভানু বাগের শ্রাদ্ধ। এতদিন বাদে সেকারণেই এগরা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্য়দিকে তৃণমলের দাবি, নানা গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি থাকে মুখ্যমন্ত্রীর। অন্যদিকে এগরাকাণ্ডের পরে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেই নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে অভিযান হয়েছে। প্রচুর বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু বাসিন্দাদের প্রশ্ন কোনও ঘটনা ঘটার পরে দিন কয়েক একটু তা নিয়ে নড়াচড়া হয়। তারপর আবার একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। এলাকার কোথায় বাজি তৈরি হয়, কোথায় বাজি মজুত করা হয় তা নিয়ে কি পুলিশ প্রশাসনের কাছে খবর থাকে না? তারপরেও কেন চুপ করে থাকে পুলিশ সেটাই দেখা হোক।