নারদকাণ্ডে হাত পেতে টাকা নিয়ে দেখা গিয়েছিল একাধিক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের। ভিডিও ফুটেজ দেখে এমনটাই দাবি তোলা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে।এদিকে সেই নারদকাণ্ডে সিবিআই ও ইডি রাজ্যের দুই মন্ত্রী সহ ৩জন বিধায়ককে চার্জশিট দিয়েছিল। চার্জশিটে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন 🔯মিত্রের নাম ছিল। এনিয়েই আপত্তি তুলেছিল বিধানসভার সচিবালয়। স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হয়নি একথা উল্লেখ করে ইডি ও সিবিআইকে তলব করেছিলেন বিধানসভার স্পিকার। এনিয়ে জল অনেকদূর গড়ায়। তবে শেষপর্যন্ত এভাবে স্বতন্ত্র কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে তলব করার এক্তিয়ার বিধানসভার স্পিকারের রয়েছে কি না এনিয়েই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার দেখা যাক সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক কী পর্যবেক্ষণ আদালতের?
আদালত সূত্রে খবর, শেষ পর্যন্ত যাবতীয় বিতর্ককে কার্যত সরিয়ে রেখে কাজে মন দিতে বললেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, 'রাজনৈতিক ঝগড়া যথেষ্ট হয়েছে। স্পিকার, সিবিআই, ইডি দ্বৈরথও যথেষ্ট হয়েছে। সব ভুলে কাজে মন দিন।' তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে মন দিতে বলেছে আদালত। কিন্তু বিধানসভার স্পিকারꦯ আদৌ এভাবে তদন্তকারী সংস্থাকে ডেকে পাঠাতে পারেন কি না সেই প্রশ্নের কোনও নিষ্পত্তি হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে। এর সঙ্গেই সূত্রের খবর, আগামী দিনে যদি স্পিকার ফের, সিবিআই বা ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ডেকে পাঠায় তবে কী তারা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে? এক্ষেত্রে অবশ🤪্য় আদালতের দরজা সিবিআই-ইডির জন্য খুলে রাখা হয়েছে।