একুশের নির্বাচনের পর থেকেই বিধান ভবনের কর্তারা কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে দুয়োরান🐼ি হয়ে গিয়েছে। কোনওভাবেই প্রদেশ কংগ্রেস সাফল্য পাচ্ছে না। তবে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে দুটি আসন পেয়েছে। আর এসব মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না কংগ্রেস হাইকমান্ড। তাই এবার পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে দেওয়া হল। তামিলꩲনাড়ুর প্রবীণ সাংসদ ডাঃ এ চেল্লাকুমারকে রাজ্য কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করল এআইসিসি।
তবে কংগ্রেস যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, জিতিন প্রসাদ পদ এবং দল ছেড়ে দেওয়া এই নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্য কংগ্রেস এখানে যেভাবে চলছে তাতে সাফল্য আসছে না। বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেও কংগ্রেসের সম্পর♍্ক ভাল নয়। সেটা হলে একটা জোটের সম্ভাবনা তৈরি হ𒅌তো। তাতে কংগ্রেস সাফল্য পেত। এই কথা সরাসরি না বললেও পরোক্ষভাবে সেটাই বুঝিয়ে দেওয়া হল বলে মনে করছেন অনেক কংগ্রেস নেতা।
এই এ চেল্লাকুমার এখন ওড়িশার দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁকে এখানে দায়িত্ব দিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে দলের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল বলেন, ‘কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছেন এ চেল্লাকুমারকে। তিনি শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ এবং আন্দামানের দায়িত্ব নেবেন।’ গৌরব গগৈ, জিতিন প্রসাদের পর এ চেল্লাকুমার এই রাজ্যে কংগ্রেসকে চাঙ🐼্গা করতে পারে কিনা এখন সেটাই দেখার।
নতুন বছরে দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রক্রিয়ার ঝক্কি–ঝামেলা সামলানোর বিষয়ে তাঁকে এই বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে যাঁর সঙ্গে বঙ্গ–রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই তাঁকে পর্যবেক্ষক করে পাঠꦐানোয় হতাশ রাজ্য কংগ্রেসের নেতারা। যখন ꦜগোটা দেশে তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান বিরোধী মুখ হতে চলেছে এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে বৃহত্তর জোট করে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার কথা ভাবছে তখন এ চেল্লাকুমার কোন পথ ধরেন সেটাই দেখার।