বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ অয়ন সেনগুপ্ত। ক্যামেরার পিছনে তাঁর সাফল্য প্রশ্নাতীত! ‘কে আপন কে পর’, ‘কী করে বলব তোমায়’, ಌ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর মতো ব্লকবাস্টার মেগা সিরিয়াল পরিচালনা করেছেন তিনি। একইসঙ্গে অভিনয়ও করেন টুকটাক। কিন্তু বর্তমানে ফুটপাতে খাবারের দোকান খুলতে বাধ্য হলেন এই পরিশ্রমী এবং ট্যালেন্টেড পরিচালক! কারণ গত দু-বছর ৩ মাস ধরে তাঁর হাতে কোনও স্থায়ী কাজ নেই।
ফেসবুক লাইভে এসে নিজের সেই বেহাল পরিস্থিতির কথা জানান পরিচালক। তাঁর কথায়, স্ত্রী এবং꧟ ছেলেকে নিয়ে তাঁর সংসার। ছেলে ক্লাস সেভেনে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে হা🤪তে কাজ না থাকায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই উপার্জনের বিকল্প রাস্তা খুঁজে নিয়ে হয়েছে তাঁকে।
অয়ন বলেন, ‘তপন থিয়েটারের সামনে গত সোমবার থেকে আমরা এই দোকানটা খুলেছি। আমার মিসেস আমার সঙ্গে রয়েছে….। দু-বছর তিন মাস আমি কোনও টানা কাজ করেনি। ২ দিন, ৫দিন বা এক মাস কারুর বদলি হিসাবে আমি পরিচালকের কা🍸জ করেছি। টুকটাক অভিনয় করেছি'।
এই ক্রাইসিসের মধ্যেও ইন্ডাস্ট্রি তিনি ছাড়েননি, জোর গলায় বললেন অয়ন। জানান, ‘ꦦআমি কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি ছাড়িনি, যদি কেউ কাজ দেন নি⭕শ্চয় করব। আশা করছি নিরাশ করব না’। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন ছেড়ে খোলা আকাশের নীচে খাবার স্টল চালানো, এই সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না স্বামী-স্ত্রীর কাছে।
অয়নের স্ไত্রীও পেশায় অভিনেত্রী। এই মুহূর্তে স্নেহাশিস চক্꧅রবর্তীর ধারাবাহিক ‘গীতা এলএলবি’তে দেখা যাচ্ছে শর্মিলা সেনগুপ্তকে। পরিচালকের কথায়, ‘চুরি-চামারি করছি না। সৎভাবে চেষ্টা করছি। টুকটাক কাস্টমার আসছেন’। তপন থিয়েটারের সামনে ‘গার্ডেন আমব্রেলা’। টেবিলের উপরে ইনডাকশন ওভেন। তাতে কড়াইয়ে ফুটন্ত তেলে ভেজিটেবল চপ, চিকেন পকোড়া ভাজছেন পরিচালকের অভিনেত্রী স্ত্রী। মেনুতে রয়েছে আমিষ ঘুগনিও।
পরিচালকের কথায়, ক্যামেরা ছেড়ে রাস্তায় খাবার বিক্রি করতে হবে! নিজেকে এই মানসিকতায় তৈরি করতে রাতের পর রাত জেগে কাটিয়েছেন কিন্তু🧜 সংসার চালাতে নেহাত বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত। অয়ন সেনগুপ্তর পরিচালনায় কাজ করেছেন স্বস্তিকা দত্ত, অন্বেষা হাজরারা। স্বস্তিকা পরিচালকের হার না-মানা মনোভাবকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
নেটপাড়াও কুর্নিশ জানাচ্ছে তাঁর এই প্রয়াসকে। অয়ন সেনগুপ্ত গিল্ডের সদস্য। আনন্দবাজার অনলাইনকে পরিচালক জানান, যেখানে কথা বলার দরকার তিনি বলেছেন,🎀 তবে অনেকে চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেউ সটান না বলে দিয়েছেন। তবে কারুর বিরুদ্ধ🥀ে অভিযোগ নেই তাঁর। কোন ক্রুটির জন্য তিনি কাজ পাচ্ছেন না। সেই ব্যাপারটি স্পষ্ট নয় তাঁর কাছে। বললেন, ‘কিন্তু দুটো ব্যাপার গত দু’বছর ধরে দেখছি। এক, যাঁরা নিয়মিত কাজ পাচ্ছেন তাঁরাই নিয়মিত কাজ করছেন। যাঁরা পান না বা পাচ্ছেন না তাঁরা কিন্তু পান-ই না! দুই, আমার কোথায় ত্রুটি? কেউ বলতে পারছেন না। কিন্তু কাজও দিচ্ছেন না। জানাচ্ছেন, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ হোক বা প্রযোজক— কেউই নাকি আমাকে নিয়ে আগ্রহী নন।’