করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ছাত্রী। কিন্তু আক্রান্ত অবস্থাতেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সশরীরে যেতে হল। যদিও পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে যায়। বিষয়টি জানার পর ক্ষমা চেয়ে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। গোটা ঘটনায় বিতর্কের মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।জানা গিয়েছে, দমদমের বাসিন্দা উষসী চক্রবর্তী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে সোশ্যাল ওয়ার্ক নিয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন। ভর্তির জন্য ১০ হাজার টাকা জমাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নথি যাচাইয়ের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মী যখন তাঁকে নথি যাচাইয়ের জন্য ডেকে পাঠান, তখন ওই কর্মীকে উষসী জানান, তিনি করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন। সেই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। কিন্তু মেয়েটি অসুস্থ জেনেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, উষসীকে ক্যাম্পাসে হাজির হতেই হবে। না হলে তাঁর ভর্তি প্রক্রিয়া আটকে যাবে। টাকাও ফেরত দেওয়া হবে না। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কর্মী। বলে দেন, আর পাঁচ জনের মতো উষসীকেও লাইনে দাঁড়িয়ে ভেরিফিকেশন করাতে হবে। পুরো বিষয়টি ফেসবুকে লিখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে উষসী জানান, ‘অগত্যা আমি আর পাঁচটা সুস্থ মানুষের মতো মুখে মাস্ক পড়ে বেরোচ্ছি। আমার জন্য কেউ আক্রান্ত হলে তার দায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। আমার কোনও দায়ভার নেই।’ জানা গিয়েছে, পরে যখন ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছোন, তখন পুরো বিষয়টি সম্পর্কেই জেনে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে সঙ্গে উষসীর কাছে ক্ষমাও চাওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে গোটা ঘটনায় যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।