যে সংঘাতের প্রত্যাশা করা হয়েছিল এবার সেটাই হল। আজ, মঙ্গলবার বাবুঘাটের বাজে কদমতলা ঘাটে বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচি নেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশের অনুমতি মেলেনি। তবে এই কর্মসূচি হবেই বলে হুঙ্কার ছেড়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর তারপরই দুপুরে বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচির অনুমতি নিয়ে তর্কাতর্কি থেকে ধুন্ধুমার 🌌পরিস্থিতি তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই বিজেপি নেতা সজল🦹 ঘোষকে টেনে–হিঁচড়ে লালবাজারে নিয়ে গেল পুলিশ।
এদিকে গঙ্গা আরতির প্রস্তুতি দেখতে যাওয়া বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে বাবুঘাট এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। আর বাবুঘাটের বাজে কদমতলায় বিজেপির তৈরি মঞ্চ খুলে দেয় পুলিশ। এতকিছুর পরেও বিজেপি কর্মসূচি নিয়ে অনড়। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ রাজ💛্য সভাপতি তথা বলুরঘাটের সাংসদ সুকা🍃ন্ত মজুমদারের নেতৃত্বে গঙ্গা আরতি কর্মসূচি হবে। সুতরাং সন্ꦬধ্যায় আরও একটা সংঘাত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বিজেপি ফেস্টুন, ব্যানার পুলিশ খুলে নেওয়া হয়। কারণ পুলিশ সূত্রে খবর, এখন গঙ্গাসাগর মেলার জন্য বহু পুন্যার্থী বাবুঘাটে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবারও একইভাবে বহু পুন্যার্থীর ভিড় হওয়ার কথা রয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপির কর্মসূচি আয়োজিত হলে, যানজ🌄ট তৈরি হবে এবং পুন্যার্থীদের সমস্যায় পড়তে হবে। তাছাড়া জি–২০ বৈঠকও চলছে কলকাতায়। তাই গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হওয়ার পর যেন নতুনভাবে এই কর্মসূচির অনুমতি 🌞চেয়ে আবেদন করা হয়।
ঠিক কী বলেছেন সজল ঘোষ? এখানে পৌঁছে পুলিশের উপর মেজাজ দেখাতে থাকেন সজল ঘোষ বলে অভিযোগ। তখন জবাব দেয় পুলিশও। তাতেই তর্কাতর্কি বেঁধে যায়। তখন পুলিশকে উদ্দেশ্য করে সজল বলেন, ‘আরতি হবেই। এটাই শুধু জেনে রাখুন। আরতির সঙ্গে এই সরকারের বিসর্জন হতে পারে। সেটা হয়ে যাবে কি না, বলতে পারছি না। জি২০ হলে গঙ্গাসাগর হতে পারে। নজরুল মঞ্চে দিদির সভা হলে তো অনুমতির অভাব হয় না। তবে পুজোয় কেন হবে না? হবেই। সেনার অনুমতি রয়েছে। আগাম ২০ হাজার টাকা 𝓡দেওয়া রয়েছে। আমাদের পুলিশের নিরাপত্তা চাই না।’ তখন তাঁকে আ🐟টক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।