বড়দিনের পার্কস্ট্রিটে গা ঘেষাঘেষি ভিড় দেখে চমকে উঠেছিলেন অনেকেই। সংক্রমণ যে বাড়তে পারে তা নিয়েও তৈরি হচ্ছিল আশঙ্কা। আর যাবতীয় আশঙ্কাকে সত্যিতে পরিণত একেবারে সদলবলে ঝাঁপিয়ে পড়ল করোনা। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর বুধবার রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ১০০০ ছাড়িয়েছে। বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে যখন গোটা বাংলা তখনই এসেছে এই মন খারাপ করা খবর। আতঙ্কের খবর। উদ্বেগের খবর। তবে কি ওমিক্রনের হাত ধরে রাজ্যে এবার আছড়ে পড়ল করোনার তৃতীয় ঢেউ? বুধবার গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তখনই স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানান, গতকাল সংক্রমণ ছিল ৮০০। আজ হাজার পার করে গিয়েছে। এদিকে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৭৫২ জনের। বুধবার সেই সংখ্য়া দাঁড়িয়েছে ১০৮৯ জন। পরিসংখ্য়ান বলছে, জুলাই মাসের শুরুর দিকে শেষবার হাজার ছাড়িয়েছিল সংক্রমণ। এবার বছর শেষে সেই একই উদ্বেগের ছবি। এদিকে প্রশাসনিক বৈঠকে ওমিক্রন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কনটেনমেন্ট জোন, স্কুল কলেজ বন্ধ সহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন কতটা করা যায় তা নিয়ে পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এটি কি ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ? তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, সমস্ত নমুনার জেনোম সিকোয়েন্সিং হয়নি। সেক্ষেত্রে কোন ভ্যারিয়ান্ট বলা যাবে না। এদিকে স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুসারে দেখা যাচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। পজিটিভিটি রেট ২.৮৪ শতাংশ। কলকাতাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪০জন। উত্তর ২৪ পরগনায় ১৪৫জন আক্রান্ত। হাওড়ায় আক্রান্ত ৭৯জন। কলকাতা ও হাওড়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩জন করে।