বড়দিনের মুখে করোনাকে নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বাংলায়। চিকিৎসকরা বার বার প্রকিশনারি ডোজের উপর জোর দিচ্ছেন। এই ডোজ নেওয়া থাকলে করোনার দাপট থেকে রক্ষা পেতে পারেন বঙ্গবাসী। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এসবের মধ্যেই নতুন করে কিছুটা উদ্বেগ ছড়িয়েছে করোনা ভ্যাকসিনকে ঘিরে। সূত্রের খবর, বাগবাজারের ভ্যাকসিন স্টোরে কোভিশিল্ড ও করবোভ্যাক্সের ভাঁড়ারে ব্যাপক টানাটানি। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোভিশিল্ড বা কর্বোভ্যাক্সের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে কতটা সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে সূত্রের খবর বর্তমানে কোভিশিল্ড বা কর্বোভ্যাক্সের চাহিদা সেভাবে নেই। তবে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।একে বড়দিন। পার্ক স্ট্রিটের ভিড়ে গা ভাসানোর জন্য তৈরি হচ্ছেন বঙ্গবাসী। আর সেই সময়ই করোনা নিয়ে নয়া উদ্বেগ। মূলত চিনে করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ার পরেই উদ্বেগটা যেন পাহাড়প্রমাণ। নতুন করে অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করা শুরু করেছেন। কিন্তু বাগবাজার ভ্যাকসিন স্টোরে পরিস্থিতিটা ঠিক কীরকম রয়েছে?নির্দিষ্ট তাপমাত্রার মধ্যে অত্যন্ত সুরক্ষিতভাবে করোনার টিকা রাখা রয়েছে বাগবাজার ভ্যাকসিন স্টোরে। ২৪ ঘণ্টা এই স্টোরে যাবতীয় ব্যবস্থা বজায় রাখা হয়। কিন্তু সেখানে বর্তমানে শুধুমাত্র কোভ্যাক্সিনের ভায়ালই রয়েছে। তার সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার ৯৭০টি। আপাতত ৪৬ হাজারের থেকে কিছুটা কম সংখ্যক কোভ্যাক্সিন মজুত রয়েছে এই ভ্যাকসিন স্টোরে। কিন্তু এখানে কোভিশিল্ড বা কর্বোভ্যাক্স ভ্যাকসিন কার্যত অমিল। তবে সরকারের অন্য স্টোরে কিছু এধরনের টিকা থাকতে পারে। তবে সূত্রের খবর. দার্জিলিং জেলা ছাড়া অন্য় জেলা সেভাবে টিকার জন্য ডিমান্ড লিস্ট পাঠায়নি।তবে কলকাতা পুল এলাকাতেও টিকাকরণের কেন্দ্র এখনও খোলা রয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে টিকার জন্য় কেউ যেতেই পারেন। তার ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে কোভিশিল্ড ও কর্বোভ্যাক্স সংক্রান্ত যে আকাল দেখা দিয়েছে তা মেটাতে দ্রুত ব্য়বস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে টিকা সংক্রান্ত সমস্যা হওয়ার কথা নয়।এদিকে এবার বড়দিনে করোনা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই কলকাতার বিভিন্ন দ্রষ্টব্য জায়গায় রেকর্ড ভিড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ভিড় সামাল দেওয়া এবার পুলিশ প্রশাসনের কাছে বড় চ্য়ালেঞ্জ। তবে ইতিমধ্যেই করোনা বিধি মেনে চলার ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে আবেদন করা হয়েছে। তবে করোনা বিধিকে মেনে কতজন বড়দিনের আনন্দে গা ভাসাবেন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।