আগামী ১০ জুলাই। আবার আসছে বিধানসভা উপনির্বাচন। মানিকতলা, রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ ও বাগদা এই চার কেন্দ্রে হবে বিধানসভা উপনির্বাচন। কিন্তু এবার প্রশ্ন বামফ্রন্ট কী করবে? সিপিএম কি ফের কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে? নাকি লোকসভা ভোটে এত বড় বিপর্যয়ের পরে সিপিএম এবার নিজের শক্তিটা একটু যাচাই করবে?\তবে সূত্রের খবর, তেমনটা হচ্ছে না। এবারও বিধানসভা উপনির্বাচনে হাত চিহ্নের সঙ্গে একযোগে চলতে চান সিপিএম নেতৃত্ব। আগামী ১৪ জুন বামফ্রন্টের বৈঠক হবে। সেখানেই এই জোট করে ভোটে লড়ার ব্যাপারটাতে শীলমোহর পড়তে পারে। এক্ষেত্রে কী ধরনের সমঝোতা হতে পারে তারও একটা ইঙ্গিত মিলেছে।এনিয়ে সূত্রের খবর, মানিকতলা ও বাগদা উপনির্বাচনে বামেরা প্রার্থী দেবে। রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্র নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে রায়গঞ্জে কংগ্রেস লড়তে চায়। তার একটা বড় কারণ হল রায়গঞ্জ বরাবরের জন্যই কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত। বাম আমলেও রায়গঞ্জে কংগ্রেস অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। সেক্ষেত্রে ফের সেই রায়গঞ্জ থেকে শক্তিপরীক্ষা করতে চাইছে কংগ্রেস। কিন্তু বাস্তবে এই উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট কতটা দাগ কাটতে পারবে সেটা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। এদিকে এবার লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে দেখা গিয়েছে যে সুজন চক্রবর্তী আর মহম্মদ সেলিম ছাড়া সিপিএমের অধিকাংশ প্রার্থীরই জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। একটি আসনেও আর লাল পতাকা ওড়ার মতো পরিস্থিতি নেই। তবে মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে অন্তত জয় পেয়েছে কংগ্রেস। সেই নিরিখে কংগ্রেসকে গুরুত্ব না দিলে বামেরা কতটা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আবার অন্যদিকে একসময়ের শত্রুর সঙ্গে এভাবে হাত ধরাধরি করতে গিয়ে আখেরে বামেদের কতটা লাভ হয়েছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। তবে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রটি প্রয়োজনে কংগ্রেসকে লড়ার জন্য ছেড়ে দিতে পারে সিপিএম। এনিয়ে বামফ্রন্টের বৈঠকে ও পরবর্তীতে জোটের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। তবে যেভাবে গোটা দেশ জুড়ে বামেদের এই ভরাডুবি তা নিয়ে ইতিমধ্য়েই নানা প্রশ্ন উঠছে। তবে এবার আইএসএফ জোট করতে রাজি নয় বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে। সেক্ষেত্রে তারা একলা লড়তে পারে। কিন্তু এই উপনির্বাচনেও হাতকেই বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করছেন বামেরা। এক্ষেত্রে সিপিএম ও কংগ্রেস আপাতত এই ভোটে কেউ কাউকে ছাড়তে চাইছে না। একে অপরের হাত ধরে লড়বে তারা।