বামফ্রন্ট সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএমের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস প্রয়াত। আজ, মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর জীবনাবসান হয়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। গুরুতর অসুস্থ ছিলেন তিন𒁏ি। দীর্ঘদিন ধরেই লিভারের অসুখে ভুগছিলেন এই সিপিএম নেতা। এখনও তিনি সিপিএমের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সম্পাদক পদে ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জেলার কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে।
এদিকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কল্লোল মজুমদার জানান, কৃষক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ৭০–এর দশকের গোড়ায় সিপিএমের দলীয় সদস্যপদ পান নারা🍰য়ণ বিশ্বাস। ১৯৯৩–১৯৯৮ পর্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভাধিপতি ছিলেন এই কমিউনিস্ট নেতা। তারপর তিনি বিধায়ক হন। ২০০১–২০১১ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন বিচক্ষণ এই নেতা। আর এখনও তিনি দলের রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন। মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ ছিলেন।
অন্যদিকে অসুস্থ হওয়ার আগে পর্যন্ত সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন তিনি। সকল নেতার কাছেই নারায়ণ বিশ্বাস খু🦩ব গ্রহণযোগ্য নেতা ছিলেন। সদা হাসি মুখে যে কোনও সমস্যার সমাধান বাতলে দিতে পারতেন বলে জনপ্রিয ছিলেন। বামফ্রন্ট সরকারের জমানায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সিপিএমের বিশাল সংগঠন ছিল। কিন্তু ক্ষমতা হারানোর পর তা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। গোটা রাজ্যেও সংগঠন তলানিতে চলে গিয়েছে। তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাসকে দলের জেলা সম্পাদক করা ꦏহয়েছিল। আর তিনি তা এই বয়সে দক্ষতার সঙ্গে সামলাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুণাল ঘোষের চিঠির জবাব দিলেন অমিত শাহ, শিশিরের বিরুদ্ধে কি সিবিআই তদ𝐆ন্ত হবে?
আর সিপিএম সূত্রে খবর, এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে আজ, মঙ্গলবার দুপুরে প্রয়াত নেতার দেহ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের রাজ্য দফতরে নিয়ে আসা হবে। তারপর সেখান থেকে সড়কপথে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। আর সেখানেই রাতে ডিপ ফ্রিজে রাখা থাকবে প্রয়াত নেত꧑ার দেহ। আগামীকাল, বুধবার সিপিএমের জেলা দফতর এবং গঙ্গারামপুরের দলীয় কার্যালয় হয়ে সকাল ১১টায় মালদা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দেহ দান করা হবে। মৃত্যুর আগে দেহ দান করে গিয়েছিলেন তিনি।