কসবা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এখন তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য–রাজনীতি। কলকাতা পুলিশ তড়িঘড়ি তদন্তে নেমে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। তাতে মুঙ্গের থেকে অস্ত্র আসার🌞 তথ্য পেয়েছে লালবাজার। এই ঘটনায় পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যদিও তাঁর সঙ্গে দলের অধিকাংশ নেতারা সহমত নন। তবে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি একটা নতুন তত্ত্ব দিয়েছেন। তাতে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে।
এই ঘটনা নিয়ে এখন জোরদার তদন্ত চলছে। খাস কলকাতায় ভরসন্ধ্যায় এমন ঘটনা সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ গ্রেফতার হওয়া যুবরাজের বয়ান অনুযায়ী, কলকাতা পুরসভার বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষকে হত্যা করতে ১০ লক্ষ টাকা বরাত মিলেছিল। মঙ্গের থেকে অস্ত্র আনা থেকে শুরু করে সুপারি কিলার জোগাড় করা পর্যন্ত মোটা টাকা মিলেছিল। কিন্তু রবিবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৃজন বলেন, ‘বাইপাসের ফাঁকা এলাকায় কে জমি দখল করে ফ্ল্যাট🔯 ꦛবানাবে সেসবের বাড়বাড়ন্ত চরমে পৌঁছয় তৃণমূল আমলে। সুশান্ত ঘোষের ঘটনা দুঃখজনক। হতেই পারে তৃণমূল কংগ্রেসের এটা নিজস্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। তৃণমূল কংগ্রেসের কায়েমী স্বার্থ জড়িয়ে আছে।’
আরও পড়ুন: এবার মহাপ্রচারে নামতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জনসংযোগ কর্মসূচি থাকছে
আফরোজ খান ওরফে গুলজারকে জেরা করে গোটা ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু এত টাকার বরাত দিল কে? সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে এটা জানা গিয়েছে, বিহারের তিন সুপারি কিলারকে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আর এই টাকা নিজে দিয়ে আসে গুলজার বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এবার তাদের সন্ধানে বিহারে গিয়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। এই আবহে সৃজন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘হয় এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল আছে, নয়ত সুশান্ত ঘোষ দলে নিজের দর❀ বাড়াতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।’
এখন গোটা ঘটনার সত্যতা জানতে স্কুটারে করে আসা যুবরাজ সিং, ট্যাক্সিচালক আহমেদ খান এবং গলসি থেকে গ্রেফতার হওয়া গুলজারকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। তখনই উঠে আসে সুশান্ত ঘোষকে খুনের ছক এই প্রথমবার করা হয়েছে এমন নয়, গত পাঁচ মাসে মোট তিনবার হত্যার ছক করা হয়। অথচ সিপিএম নেতা সৃজনের কথায়, ‘হতেই পারে সুশান্ত ঘোষ কাউকে জুটিয়ে এনে বলেছিলেন, ছবি তোলার মতো করে বন্দুক চালাবি♈। কিন্তু গুলি যেন না বের হয়। এতে একটু ওঁর দর 🗹বাড়বে। তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল আছে। আবার সত্যিই এই ঘটনার পিছনে অন্য কেউ থাকতে পারে।’