অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে সিপিআই এবং স🍃িপিএম গড়ে ওঠে। তার পরে ৬০ বছর কেটে গিয়েছে। একবারও ‘বাঙালি’ সাধারণ সম্পাদক হয়ন✅ি। এবার তা হতে চলেছে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে সেরকমই খবর মিলছে সূত্রে। এখন সীতারাম ইয়েচুরি প্রয়াত হওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক পদ শূন্য রয়েছে। প্রকাশ কারাতকে কো– অর্ডিনেটর করা হলেও শূন্যস্থান পূরণ করা হয়নি। আগামী এপ্রিলে হবে পার্টি কংগ্রেস। ততদিন পলিটব্যুরো দায়িত্ব সামলাবে। আর কো–অর্ডিনেটর হিসাবে কাজ করবেন প্রকাশ কারাত।
এই আবহে দু’দিনের পলিটব্যুরো বৈঠক হয়ে গিয়েছে। আর সিপিএমের একটা বড় সূত্রের খবর, দলের পলিটব্যুরোর সদস্য তথা পশ্চিমবঙ্গ🌳ের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে এই পদে আসীন হওয়া নিয়ে ভাবার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। রাজি হলে তিনিই হবেন পরবর্তী সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। সেক্ষেত্রে ইতিহাসে প্রথমবার সিপিএম একজন ‘বাঙালি’ সাধারণ সম্পাদক পাবে। মহম্মদ সেলিম ইংরেজি ভাল জানেন। দলের গঠনতন্ত্র নিয়ে সম্যক ধারণা আছে। একদা সাংসদ ছিলেন। সংসদে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। তাই তাঁকে সাধারণ সম্পাদক করলে বাংলা এবং নয়াদিল্লি ও 🎐কেরল, ত্রিপুরা একসঙ্গে সামলানো যাবে।
আরও পড়ুন: ‘নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে কেন্দ্রকে’, নির্যাতিতার পরিচয় ফাঁস নিয়ে সুপ্রিম নির্দেশ
মহম্মদ সেলিম বঙ্গ–সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পর তরুণ প্রজন্ম উজ্জীবিত হয়েছে। দলের তরুণ নেতা–নেত্রীরা তাঁর নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন নানা আন্দোলনে। লোকসভা নির্বাচনে সেলিম নিজের জামানত ধরে রাখতে পেরেছেন। এমন পরিস্থিতি দেখে সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নয়াদিল্লি থেকে সেলিমের কাছে ফোন যায়। এইমস হাসপাতালে তখন চিকিৎসাধীন সীতারাম ইয়েচুরি। আর তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। সিপিএম সূত্রে খবর, তখন প্রকাশ কারাত বার্তা পাঠান আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। তাতে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম নয়াদিল্লিতেꦐ গিয়ে আপাতত পার্টিকেন্দ্রের হাল ধরুন। যদিও সেলিম বাংলা ছাড়তে রাজি হননি। আবার পলিটব্যুরোর বৈঠকের আগে সেলিমকে রাজি করাতেꦑ এক দফা চেষ্টা করেন কারাতরা। অন্তর্বর্তী সাধারণ সম্পাদক হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন সেলিম।