বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে বিজেপি বিধায়ক, সাংসদদের জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি বিধায়ক, সংসদদের এই আচরণের তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার সকালে নিউটনের ইকোপার্ক থেকে এবার জয় শ্রী রাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, ‘জয় শ্রীরাম নিয়ে যদি𝓡 আপনার আপত্তি থাকে তাহলে আপনি বিল পাশ করিয়ে এটি নিষিদ্ধ করুন।’
দ💮িলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমাদেরജ দেশে বন্দে মাতরম বলতে আইনি বাধা নেই। জয় শ্রীরাম বলতেও বাধা নেই। উনি ক্ষেপে যাচ্ছেন কেন? আমাদের পিছনে তো রেগুলার জয় বাংলা বলছেন। আমরা কি ক্ষেপে যাই? যদি আপনার জয় শ্রীরাম শুনতে আপত্তি থাকে, বিধানসভায় বিল নিয়ে আসুন। রোজ তো কিছু না কিছু বিল আনেন🌳। বিল এনে পাশ করিয়ে রাজ্যে জয় শ্রীরাম নিষিদ্ধ করে দিন। ইংরেজরা সার্ক𓆏ুলার জারি করে দেশে বন্দে মাতারম বলা বন্ধ করেছিল। তৃণমূল জয় শ্রীরাম ব্যান করে দিক। মানুষ বুঝে যাবে, এরা কারা?’
শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলতে স্লোগান তুলতে বিরক্ত হন মমতা। শেষমেশ পরিস্থিতি সামাল দিতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। তবে শেষমেষ মূল মঞ্চে ওঠেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে মমতাকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এত বোঝালেন অশ্বিনী বৈষ্ণব, তাও অনড় রইলেন মমতা। ওꦕনার রাজনীতিটাই নেগেটিভ পলিটিকস। শুধু নাটক। আপনি তো জয় শ্রীরাম বলায় কিছু লোককে জেলে ঢুকিয়েছিলেন। সারা বাংলার লোক ক্ষেপে আছে। এ জিনিস গণতন্ত্রে চলতে পারে না। আপনারা তো সরকারি অনুষ্ঠানে আমাদের এমপি, এমএলএ-দের ডাকেন না। আমরা তো তাও ডেকেছি। সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই প্রকল্পে ওনার কোনও অবদান নেই। আপনি এমন ভাব করছেন, যেন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।’
এদিকে, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বিজেপির জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘যেখানে সেখানে জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলে রামের বদনাম করা হচ্ছে, ছ্যাবলামি করা হচ্ছে। জয় শ্রীরাম করতে হলে রাম মন্দিরে গিয়ে করুন। ওরা আসলে রামভক্ত নয়, ওরা রামকে রাস্তায় নিয়ে আস🍎ে বদনাম করছেন।’