বসিরহাটে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ মেটাতে গিয়ে পুলিশকর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দুপক্ষকেই আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার তিনি বলেন, আর কতজনকে শহিদ হতে হবে জানি না।এদিন সকালে দিলীপবাবু বলেন, ‘পুলিশের এখন বড় কাজ হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ মেটানো। টাকা পয়সা তুলে দেওয়া, সংগঠনের কাজ করা, ভোট জেতানো, এখন তৃণমূলের মধ্যে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ শুরু হয়েছে সেটা পুলিশকে গিয়ে মেটাতে হচ্ছে এবং পুলিশকে গুলি খেতে হচ্ছে। তৃণমূল পার্টিটা হল সমাজবিরোধীদের সমাহার। গন্ডগোল – মারপিট হবেই। এখন পুলিশের সাহস নেই সমাজবিরোধীদের গায়ে হাত দেওয়ার। পুলিশ এখন পার্টিটাকে চালিয়ে ভোট জেতানোর দায়িত্ব নিয়েছে। জানি না, এখনও কতজনকে শহিদ হতে হবে’।সোমবার সন্ধ্যায় বসিরহাট – টাকি সড়কের শাকচূড়া বাজারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ মেটাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন বসিরহাট থানার কন্সটেবল প্রভাত সরদার। অভিযোগ, তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে বন্দুক এনে গুলি চালান তৃণমূল নেতা সিরাজুল বেশের ছেলে ওবায়দুল। এই ঘটনায় রাতভর তল্লাশিতে সিরাজুলসহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে উদ্ধার হয় ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র। অভিযোগ, সিরাজুল তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অনুগামী। মূল তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।