পঞ্চায়েত হিংসা নিয়ে উদ্বিগ্ন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও পরিচালক অপর্ণা সেন। তিনি 🍷সেই উদ্বেগ জানিয়♎ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর এই চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়ে পরিচালক বলেন, ‘আমি অনেক ভাবে চেষ্টা করেছি। আমার মন ভেঙে গিয়েছে।’
এদিন অপর্ণা বলেন, ‘এই রক্তস্নাত কসাইখানা আমার দেশ না। এই জল্লাদের উল্লাস মঞ্চ আমার দেশ না। আমার মন ভেঙে গিয়েছে।’ পরিচালক জানিয়েছেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি মানুষের সঙ্গে থাকতে চান। পঞ্চায়তে ভোটে হিংসায় যে ভাবে মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাতে তিনি মর্মাহত বꦓলে জানিয়েছেন। এর দায় মুখ্যমন্ত্রী এড়িয়ে যেতে পারেন না।
পরিচালকের কথায়, ‘🔯তিনবার ধরে অত্যাচার চলছে। ভোটে আগে অত্যাচার। ভোটে অত্যাচার। ভোটের পরে অত্যাচার। ৫২ জন মানুষ মারা গিয়েছেন। কত মানুষ নিখোঁজ। কত জন ঘর ছাড়া।’
𒁃তবে তিনি একা নন, এই চিঠিতে সই থাকবে অনেকেরই। ইতিমধ্যে সই সংগ্রহ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। অপর্ণা বলেন, ‘খুব ভালো লাগে যে বেশি দিন বাঁচতে হবে ဣনা। গণতন্ত্র আর অবশিষ্ট নেই। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাচ্ছি। আপনারও সই করুন।’
বামশাসনের অবসান চেয়ে যে সমস্ত বুদ্ধিজীবীরা পথে নেমে ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম অপর্ণা সেন। সেই অপর্ণা সেন এবার পরিবর্তনের সরকারে ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের দৃশ্য দেখে মর্মাহত। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমত💛া বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখছেন অভিনেত্রী তথা পরিচালক অপর্ণা।
প্রসঙ্গত, তিনি এমন সময় এই চিঠি দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনলেন তাঁর ঠিক আগের দিনই মণিপুরে গিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। দুই নির্যাতিতার ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে জোর শোরগোল দেশ জুড়ে। যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ঐক্যবদ্ধ🐓 হয়ে 𒊎‘দুর্বৃত্তদের’ বিরুদ্ধে এক হওয়ার ডাক দিয়েছেন।
আবার অন্য দিকে রাত পেরোলেই একুশে জুলাই শহিদ দিবস পালন করবে তৃণমূল। এবারের শহিদ দিবস পঞ্চায়েত ভোটে নিহত কর্মীদের স্মরণ করেই। যার নাম তৃণমূল নেত্রী দিয়েছেন ‘শ্রদ্ধা দিবস’। ভোট হিংসায় নিহত কর্মীদের শ্রদ্ধা জানান🍨ো হবে ওই দিন। তাৎপর্যপূর্ণ তার ঠিক আগেই পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানোর কথা জানালেন অপর্ণা। তবে এর আগেও নানা বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়𓂃েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক তথা অভিনেত্রী।
এই চিঠির ♛প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘ওঁনার স্মরণে থাকা উচিত বাম আমলেও ভোটে কম সন্ত্রাস হতো না। কিন্তু তৃণমূল সহনশীল, প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। তাই ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও সবচেয়ে বেশি তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।’