কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক সুদীপ দাস। এবার তিনিই তৈরি করেছেন এমন এক যন্ত্র যেটি লক্ষ লক্ষ অভিভাবককে স্বস্তি দেবে। সূত্রের খবর, অ🔴নেক সময় শিশুরা পয়সা খেয়ে ফেলে। বাঁশি গিয়ে আটকে যায় শ্বাসনালীর কাছে। তাদেরকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন অভিভাবকরা। কিন্তু সেখানে সেই জিনিসগুলোকে বের করতে হিমসিম খেতে হয় চিকিৎসকদের। তবে এবার সেই বস্তুগুলি যেগুলিকে চিকিৎসকরা ফরেন বডি বলে উল্লেখ করেন। সেগুলি শরীরের মধ্য়ে থাকলে শিশুর প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারে। এবার শরীরের ভেতর থেকে সেই ফরেন বডিগুলি বের করার ক্ষেত্রে এই যন্ত্র কার্যকরী হতে পারে।
এই নয়া যন্ত্রের নাম রাখা হয়েছে, এসোফেজিয়াল স্মুথ স্লি♔পারি ফর💛েন বডি পুলার।
কীভাবে কাজ করবে এই যন্ত্র?
এই যন্ত্র দিয়ে মুখ দিয়েই ওই যন্ত্রটিকে বের করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে যন্ত্রের সামনের অংশটি অনেকটা চামচের মতো। সেটা দিয়েই আঁকশির মতো করে তুলে আনা যেতে পারে সেই ফরেন বডিটিকে। সব মিলিয়ে লম্বায় যন্ত্রটি প্রায় ৪৫ সেন্টিমিটার লম্বা। মুখ দিয়ে এই যন্ত্রটিকে শরীরের ভেতর প্𒁃রবেশ করানো সম্ভব হবে। এরপর ধীরে ধীরে যে ফরেন বডিটি ভেতরে আটকে রয়েছে তার নাগাল পাওয়া সম্ভব হবে। এটির সামনের অংশটি ৯০ ডিগ্রি করে বেঁকে যেতে পারে। ধীরে ধীরে সেই ফরেন বডিটিকে বের করে আনা সম্ভব হবে।
চিকিৎসক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে💞ন ৩১ জানুয়ারি ওই বিশেষ যন্ত্রের পেটেন্ট অনুমোদন হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৩-১৪জন শিশুর শরীরে আটকে থাকা ফরেন বডি বের করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়েছে꧒। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের কাছ থেকেও তিনি এনিয়ে পরামর্শ নিয়েছিলেন। পরে একটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তা স্টেনলেশ স্টিল দিয়ে তৈরি হয় এই যন্ত্র।
এতদিন কীভাবে ফরেন বডি বের করা হত?
এতদিন সাধারণত খাদ্যনালীতে আটকে থাকা ফরেন বডিটিকে ঠেলে পেটে পাঠিয়ে দেওয়া হত। এরপর মলত্যাগের মাধ্যমে একসময় তা বেরিয়ে আসত। তবে এবার আর সেটিকে ঠেলে পেটে পাঠিয়ে দিতে হবে না। সরাসরি তা মুখ দিয়েই বের করা সম্ভব হবে। ওই চিকিৎসক নিজেই শিশুর শরীর থেকে ফরেন বডি বের করতে গিয়ে সমস্যায় প🎐ড়েছিলেন। তꦗারপরই তিনি এনিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন। আর তারই ফলশ্রুতিতে এই যন্ত্র এবার চিকিৎসা বিজ্ঞানকে নয়া দিশা দেখাবে।