আজ মহাঅষ্টমী। সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন বারোয়ারি পুজোগুলিতে শুরু হয়ꦗেছে অষ্টমী পুজো অঞ্জলিি পর্ব। মঙ্গল কামনা করে পুজো দিচ্ছেন শাড়ি ও পাঞ্জাবি আপামর বাঙালি। সন্ধিপুজোর আয়োজনে ব্যস্ত উদ্যোক্তারা। ভিড় করেছে আট থেকে আশি। বেলুড় মঠ, বাগবাজার–সহ বিভিন্ন বনেদিবাড়ির পুজোতে কুমারীপুজোর আয়োজনও করা হয়েছে। কলকাতা হা🦋ইকোর্টের নির্দেশ মেনেই সর্বত্র চলছে পুজো।
কিন্তু মায়ের কাছে যাওয়াই নিষেধ। তাহলে অঞ্জলি সম্ভব হচ্ছে কীভাবে? বছ🐲রের এই একটা দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকে আপামর বাঙালি। তাই দেখা গেল মাইকে কিছু কিছু পুজোমণ্ডপ ঘোষণা করছে, বাড়ি থেকেই মন্ত্রপাঠ শুনুন। হাতে ফুল নিন। তারপর মন্ত্র–উচ্চারণ করে সেই ফুল একটা জায়গায় রেখে দিন। পরে সেই ফুল মণ্ডপের কাছে রাখা বাক্সে দিয়ে যান। সেটা সংগ্রহ করে মায়ের পায়ে দিয়ে দেওয়া হবে। আবার কিছু পুজোমণ্ডপে দেখা গেল, মণ্ডপ থেকে বেশ খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে অঞ্জলি দিচ্ছেন। সেখানেও ঝুড়ি রাখা রয়েছে। মানুষ সেখানে ফুল রেখে দিচ্ছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গোল রিং রাস্তায়🐼 আঁকা হয়েছে।
পুজোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সন্ধিপ🥀ুজো। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট মিলে মোট ৪৮ মিনিটে সন্ধিপুজো শেষ করতে হয়। সন্ধিপুজোয় দেবীকে ১০৮টি পদ্ম এবং ১০৮টি দীপদান করার রীতি রয়েছে। এদিন দেবীকে চামুণ্ডা রূপে পুজো করা হয়। তাই সন্ধিপুজোর সমস্ত মন্ত্রই চামুণ্ডা দেবীর মন্ত্র। কথিত আছে, রামচন্দ্র অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণেই প্রথম রাবণের ১০ মুণ্ড ছিন্ন করেন। শনিবার এভাবেই শিবমন্দির সার্বজনীন, মুদিয়ালি ক্লাব, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ–সহ নানা বারোয়ারি পুজো কমিটিকে অঞ্জলির ব্যবস্থা করতে দেখা গেল।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর অন্যতম অঙ্গ হল কুমারী পুজো। পুরাণে কুমারীকে সাক্ষাৎ যোগিনী রূপে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্যের অনেক জায়গায় কুমারী পুজো করা হয়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী—এই তিনদিনই বা কোনও একদিন কুমারী পুজো করা যেতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অষ্টমী ও নবমী তিথিতে কুমারী পুজো করা হয়। কিন্ত𒅌ু করোনা ꦰপরিস্থিতি বদলে দিয়েছে সমস্ত হিসেবে নিকেশ। তাই এবার অঞ্জলি অন্য ধাঁচে। হাইকোর্টের বিধিনিষেধ মেনে মা দুগ্গার কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। দূর থেকেই চলছে অঞ্জলি পর্ব। উত্তর কলকাতার ফকির ঘোষ লেনের বারোয়ারি পুজোয় দেখা গেল শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে কিনা তা যেমন দেখা হচ্ছে তেমনি স্যানিটাইজ করা হচ্ছে দর্শনার্থীদের। অষ্টমী পুজো টেবিলে রেখে দূর থেকেই চলে যাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তারপর সেই পুজোর ডালি স্যানিটাইজ করে পৌঁছে যাচ্ছে মায়ের কাছে। নিউ নর্মালের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই মন্দিরে, প্যান্ডেলে অষ্টমীর সকালে পুজো দিচ্ছেন দর্শনার্থীরা।