একদিকে নিম্নচাপ অপরদিকে ডিভিসির ছাড়া জলে গ্রামবাংলা প্লাবিত হয়েছিল। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় দক্ষিণবঙ্গের ♕জেলাগুলিতে। আর তার জেরে শাক–সবজি থেকে ফুল সবকিছুরই ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবার সেই ক্ষতি টের পাচ্ছেন দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তারা। রাত পোহালেই মহাষ্টমীর সন্ধিপুজো। যা সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ শুরু 😼হয়ে যাবে। এই সন্ধিপুজোয় পদ্ম লাগে প্রচুর। যা জোগাড় করতে গিয়ে চাপে পড়ে যাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। গোলাপি রঙের ১০৮ পদ্মফুল দিয়ে মায়ের চরণ সাজাতে হয়। এটাই চিরাচরিত রীতি। কিন্তু এখন বাংলা জুড়ে একটি পদ্মের দাম উঠেছে প্রায় ৫০ টাকা। যা সত্যিই চাপের বিষয়।
মল্লিকঘাট ফুলবাজারে একটি পদ্ম ৩৫ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে। এটা অবশ্য এই রাজ্যে ফুটেছে। ভিন রাজ্য ওড়িশা কিংবা বেঙ্গালুরু থেকে আসা একটি পদ্মের দাম ৫০ টাকা। শহর থেকে জেলার বাজারে পদ্ম ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সুতরাং ১০৮টি পদ্মের দাম দাঁড়াচ্ছে ৫ হাজার ৪০০ টাকা। যা অনেক পুজো কমিটির কাছেই বেশ চাপের। পুজোয় বাংলা জুড়ে এক কোটির𓂃 বেশি পদ্মফুলের চাহিদা থাকে। তবে শুধু পদ্ম নয়, এখন সব ফুলেরই দাম বেশ চড়া। প্যাকেট করে পদ্ম অন্যান্য জেলা থেকে মল্লিকঘাটে আসছে। যার দাম চড়া।
আরও পড়ুন: ছুটি বাতিল হয়েছে জেলা পুলিশেরও, নারী নিরাপত্তায় নামছে ড্রোন, সিসি ক্যামেরায় নজরদারি
এদিকে জঙ্গলমহল থেকে পদ্ম পাঠানো যাচ্ছে জামশেদপুর, বোকারো, ধানবাদে। তাই কলকাতায় পদ্মফুলের দাম বাড়ল কিনা তা নিয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই ফুলচাষিদের। এবার সন্ধিপুজো একেবারে সকালে। সন্ধিপুজোতেই ১০৮টি পদ্মের দরকার হয়। এই বিষয়ে সারা বাংলা ফুল চাষি এবং ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, ‘দুর্গাপুজোর সময়🐼 পদ্ম প্রত্যেক বছরই দাম বাড়ে। তবে এমন অস্বাভাবিক হয় না। এবার নাগাড়ে বৃষ্টির♕ জেরে ফুলের অবস্থা খুব খারাপ। এখানকার মল্লিকঘাট ফুল বাজারে একটি পদ্ম মহাষষ্ঠীতে ৩৫ টাকাতে বিক্রি হয়েছে। আর পদ্ম কলকাতার নানা বাজারে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
অন্যদিকে বন্যা হয়ে যাওয়ায় দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনায় ফুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই দাম বেড়েছে চরমে। একাধিক ফুলবাজার সূত্রে খবর, লাল গাঁদা ১০০ টাকা, হলুদ গাঁদা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রজনীগন্ধা ৫০০ টাকা প্রতি কেজি। পদ্ম প্রতি পিস কোথাও ৩৫ টাকা, কোথাও ৫০ টাকা। গোলাপ প্রতি পিস ৪ টাকা। এমনকী দোপাটি ৩০০ টাকা এবং অপরাজিতা ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে পুজো উদ্যোক্তাদের। চাপে পড়ে গিয়েছেন পুজো কমিটিগুলি। কালীপুজো পর্যন্ত ফুলের দাম এমন থাকবে বলেই মনে করছেন ফ♏ুল ব্যবসায়ীরা।