মহালয়ার পর থেকেই রাস্তায় তিলধারনের জায়গা নেই। কারণ বিপুল পরিমাণ মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছেন। একদিকে শপিং অন্যদিকে প্যান্ডেল হপিং। শনিবার ও রবিবার এই ছবিই দেখা গেল উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতায়। দুর্গাপুজো এখনও তিনদিন বাকি। তার মধ্যেই মারাত্মক ভিড়ের জেরে তুঙ্গে উঠেছে যানজট। এই পরিস্থিতিতে ভিআইপি রোডে প💯র পর হুটার বাজিয়েও অ্যাম্বুল্যান্স এগোতে পারেনি বলে অভিযোগ। কেউ সেই শব্দ কানে তোলেনি বলেও অভিযোগ। আর অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে শুয়ে হৃদরো🍷গে আক্রান্ত রোগী। রোগীকে জরুরি পরিস্থিতির ওষুধ দেন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট। অ্যাম্বুল্যান্সের চালকও নিরুপায়। অবশেষে অ্যাম্বুলেন্স ঘুরিয়ে রোগীকে নিয়ে রুবি মোড়ে বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছনো সম্ভব হয়।
মহালয়ার রাতে এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। রোগী–সহ ওই অ্যাম্বুল্যান্সꦗকে আটকে থাকতে হয়েছে। ওই রাতেই ভিআইপি রোডের উপর শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের দুর্গাপুজোর মণ্ডপ খুলে দেওয়া হয়েছিল। তারপরই ভিড় ও যানজট শুরু হয়ে যায়। শ্রীভূমির পুজো উদ্যোক্তাদের সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মানুষের ভিড় ঠেকানো যায়নি সেদিন। তাই ভিড়ের চাপে যানজটে বারবার আটকে পড়েছে ভিআইপি রোড–সহ অন্যান্য এলাকা। আর তখনই তেঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সংকটজনক ওই রোগীকে রুবি মোড়ের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছিল। জটিল পরিস্থিতি তৈরি হ🍒য় ওই রোগীর যানজটে আটকে পড়ে। যদিও অবশেষে তাঁকে পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে।
ঠিক কী ব꧒লছেন অ্যাম্বলেন্স চালক? পুলিশ সূত্রে খবর, চতুর্থী থেকেই নজ🍸রদারি বাড়তে শুরু করবে। এখনই রাস্তায় বিপুল পরিমাণ মানুষ নেমে পড়েছেন। তাই এই ভিড় সামলাতে চতুর্থীর দিন থাকছে ৪ হাজার পুলিশ কর্মী। আর পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত শহরে মোতায়েন থাকবে ৮ হাজার পুলিশকর্মী। এই বিষয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটির চালক বলেন, ‘দুর্গাপুজোয় লেক টাউন–ভিআইপি এলাকায় যানজট হয়। কিন্তু তার পরেও মোটামুটি সময়ের মধ্যেই গন্তব্য হাসপাতালে পৌঁছে যাই। সেখানে শনিবার ভয় পেয়ে লেগেছিল। ৪৫ মিনিট রাস্তায় আটকে। আর পিছনে রোগীর অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়ায় তাঁকে জরুরি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। ৪৫ মিনিট আটকে থাকার পর রোগীকে নিয়ে ওই হাসপাতালে পৌঁছতে আরও এক ঘণ্টা সময় লাগে।’
আরও পড়ুন: ভিড় ঠেকাতে ৮ হাজার পুলিশকর্মী নামছে শহরে, মোট🌸 ৫১টি ওয়াচ টাওয়ারে মꦫুড়ছে তিলোত্তমা
আর কী ব্যবস্থা থাকছে? অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংস্থাগুলি মনে করছে, দুর্গাপুজোর সময় যানজটের জেরে তাদের এই সমস্যা হয়। এই বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত পুলিশের। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রীভূমির পুজো নিয়ে বলেছিলেন, ‘সুজিত তোমার পুজোর জন্য যদি রাস্তা ব্লক হয়, তাহলে আমি তোমায় ব্লক করে দেব।’ আর এখন যা ঘটল তাতে চাপে রয়েছেন খোদ মন্ত্রী। আবার সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একাধিক নেতা–নেত্রী পাইলট লাগিয়ে দুর্🌠গাপুজো দেখতে যান। এটায় আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তার জন্য রাস্তা বন্ধ করা হবে না। কোনওরকম বিশেষ কেয়ার যেন না হয়। আমি যদি কোনও রাস্তা বন্ধ দেখতে পাই তাহলে নিজেই অ্যাকশন নেব।’