শেখ শ𓄧াহজাহানের ১২.৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। সন্দেশখালি, সরবেড়িয়া এবং কলকাতার ✃বিভিন্ন জায়গায় তার জমি, ফ্ল্যাট এবং মাছের ভেড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি)। সবমিলিয়ে তার ১৪টি স্থাবর সম্পত্তি এবং দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইডির আধিকারিকরা অ্যাটাচ করেছেন। মঙ্গলবারই ধৃত শাজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ঠিক সেদিনই শাহজাহানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
আরও পড়ুনঃ সিআইডির হাত থেকে শেখ শাহজাহানকে পেল না CBI𝓡, কোথায় গেল বেতাজ বাদশা?
ইডি আধিকারীদের উপর হামলার ঘটনায় প্রায় ৫০ দিনেরও বেশি গা দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর গত বৃহস্পতিবার শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে প🃏ুলিশ। এরপর সিআইডি তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বলে। সেই সঙ্গে তদন্তের যাবতীয় নথিপত্র পুলিশকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তারপরে শেখ শাহাজাহানকে নিতে ভবনী ভবনে পৌঁছান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কিন্তু সিআইডির তরফে শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। জানানো হয় এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।ফলে খালি হাতেই ফিরে যেতে হয় সিবিআইকে।
অন্যদিকে, সেই মামলায় আপাতত শীর্ষ আদালতেও ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে এই সংক্রান্ত মামলার পিটিশন দাখিল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। এর আগে গতকালও সুপ্রিম কোর্টের সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে মৌখিক ভাবে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে গতকাল সেই মামলা শোনেনি সুপ্রিম কোর্ট। তবে আজ পিটিশন দাখিল করা হয় শীর্ষ আদালতে। তাও সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ সেই মামলা শুনতে চায়নি। এই আবহে আপাতত হাই কোর্টের নির্দেশের ওপর হস্তক্ষেপ করতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট।উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত গত ৫ জানুয়ারি। রেশন দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। তবে সেখানে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বাধা দেওয়া হয়। তাদের অপর হালা চালানো হয়। এরেফলে বেশ কয়েকজন ইডি আধিকারিক আহত হয়েছিলেন। তারপরেই পালিয়ে যায় শাহজাহান। সেই ঘটনায় রাজ্য পুলিশকে হাইক💦োর্টের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।