ইডি ও সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদের সম্প্রতি বিধানসভায় তলব করেছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিধানসভার সচিবের কাছে চিঠি জমা দিল ইডি। কিছুদিন আগে বিধানসভার অধ্যক্ষ যে ইডির প্রতিনিধিদের তলব করেছিলেন, সেই প্রেক্ষিতেই এই চিঠি বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সিবিআই ও ইডি আধিকারিকদের বিধানসভায় আসতে বলা হয়েছে।গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই ও ইডি আধিকারিকদের কাছে চিঠি পাঠান। প্রিভেনশান অফ কোরাপশন আইনের ১৯(১) ধারা অনুযায়ী চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া উচিত জানিয়েছিলেন বিমানবাবু। এই বিষয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি বিধানসভার সচিব সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের কাছে চিঠি জমা দিতে যান ইডির এক কনস্টেবল। ইডির চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করা হয়েছে বিধানসভার সচিবের তরফ থেকে। তবে পরিষদীয় রীতিনীতি অনুযায়ী, চিঠির বয়ান অবশ্য প্রকাশ্যে আনা হয়নি। কারণ, চিঠির বয়ান প্রকাশ্যে আনার এক্তিয়ার একমাত্র বিধানসভার অধ্যক্ষের রয়েছে।উল্লেখ্য, সম্প্রতি নারদ মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও বিধায়ক মদন মিত্রকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এরা তিনজনই রাজ্য বিধানসভার সদস্য। ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, একজন বিধায়ককে তলবের ক্ষেত্রে কেন বিধানসভা অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া হবে না।