🎶 মাধ্যমিক–উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রের সুরক্ষা নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিল শিক্ষা দফতর। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্যাকেট পরীক্ষাকেন্দ্রে সরাসরি পরীক্ষার্থীদের সামনেই খোলা হবে বলে জানানো হয়েছিল। এবার নির্বিঘ্নে যাতে মাধ্যমিক–উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করা যায় তার জন্য বুধবার মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে। আর ওই বৈঠকের পরই রাজ্যজুড়ে ১৪টি এআই পদে রদবদল করল শিক্ষা দফতর। এই এআই বলতে বোঝায় অ্যাকাডেমিক ইনস্পেক্টর বা ইনভিজিলেটর। যাঁরা পরীক্ষার সময় কড়া ভূমিকা পালন করেন।
✨এই এআই পদাধিকারীদের এডিআই বা ডিআই (অ্যাকাডেমিক) পদে প্রমোশন দিয়ে বদলি করা হয়েছে বলে খবর। বিরোধীরা বারবার প্রশ্ন তোলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে। রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে থাকেন বিরোধী নেতারা। সেসব যাতে না হয় এবং কোনওরকম টুকলি যাতে কেউ করতে না পারে তার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির পাশাপাশি এবার সমস্ত কিছু এডিআই বা ডিআই (অ্যাকাডেমিক) দেখবেন। এতদিন নিয়ম ছিল, প্রশ্নপত্রের প্যাকেট প্রধান শিক্ষকের ঘরে খুলে তা নানা পরীক্ষাকেন্দ্রের ঘরে বিতরণ করা। সেক্ষেত্রে পরীক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরাই তা বিতরণ করার কাজ করতেন। প্রশ্নপত্র খোলা হতো পরীক্ষা শুরুর আধঘন্টা আগে। তার জেরে ফাঁসের একটা সুযোগ থাকত।
আরও পড়ুন: হাওড়ার হোমিওপ্যাথি কলেজ ক্যাম্পাস বিক্ষোভে উত্তাল, অনশন শুরু করার হুঁশিয়ারি
কিন্তু এবার আর সেসব হবে না। গোটা বিষয়টি দেখভাল করবেন এডিআই বা ডিআই (অ্যাকাডেমিক)। মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরীক্ষার তিনদিন আগে থেকে রাজ্যের সর্বত্র লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ করতে বলা হয়েছে। আর পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষাকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে যাতে কোনও ফোটোকপির দোকান খোলা না থাকে সেটাও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 🍸এই নির্দেশের পাশাপাশি প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ছাত্রছাত্রীদের সামনেই প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ। সিল করা প্রশ্নপত্র সরাসরি ঢুকবে পরীক্ষার ঘরগুলিতেই। তার জেরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভাবনা থাকবে না।
এছাড়া প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা আরও বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসলে টোকাটুকি ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনও পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। তার জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে।❀ ওই পরীক্ষার সময় যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন না হয় তার দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরকে। এখন দেখার ২০২৫ সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কেমন হয়।