আজ, রবিবার ছুটির দিন। সক☂লেরই প্রায় গা–ছাড়া ভাব আসে এই দিনে। কিন্তু ছুটির দিনেও সক্রিয় হয়ে বাংলায় আবার তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তবে এটা একটু অন্য ধরণের দুর্নীতি। ভিন রাজ্যের ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলা। আর তার জেরে তল্লাশি হল শহরের দুই জায়গায়। চিনার পার্ক সংলগ্ন একটি অফিস এবং একটি ফ্ল্যাটে ইডি তল্লাশি চালায় বলে খবর। ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় তল্লাশি চালায় ইডি। সূত্রের খবর, নয়াদিল্লিতে একটি ব্যা🌠ঙ্ক প্রতারণা মামলায় ইডি অফিসাররা এই তল্লাশি চালায়। চিনার পার্ক সংলগ্ন পিএস অ্যাভিয়েটর বিল্ডিংয়ের পাঁচতলার একটি অফিসে তল্লাশি চালান অফিসাররা। রবিবার ছুটির দিনে অফিস বন্ধ ছিল। তাই দীর্ঘক্ষণ বাইরেই অপেক্ষা করতে হয় তদন্তকারীদের।
এদিকে এই তল্লাশি চলাকালীনই গ্রিনউড হাউসিং কমপ্লেক্সের একটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি অভিযান চালান ইডি অফিসাররা। এই ফ্ল্যাটটি ঋষি সিং নামের এক ব্যক্তির। এই ব্যক্তি ইমপোর্ট এক্সপোর্ট ব্যবসার সঙ্♔গে যুক্ত। তবে এই ব্যক্তির বেনামি সম্পত্তি আছে বলে খবর পেয়েছে ইডি। বিদেশে টাকা পাচার করেছেন কিনা ঋষি সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তল্লাশিতে যে নথি হাতে এসেছে তা পরীক্ষা করে যদি ইডির সন্দেহ মিলে যায় তাহলে ঋষি সিংকে তাঁরা গ্রেফতার🧜 করবেন। আবার ঋষি সিংয়ের সঙ্গে এই রাজ্যের কাদের সঙ্গে মেলামেশা বেশি সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে ইডি এখন প্রচণ্ড সক্রিয় হয়ে যেখানে–সেখানে হানা দিচ্ছে। সম্প্রতি রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে এসেছিলেন অফিস♍াররা। আবার বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতেও যান ইডির অফিসাররা। দীর্ঘ সময় তল্লাশি চালিয়ে বেরিয়ে যান তাঁরা। সেইসব ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই রবিবাসরীয় সকালে ইডির একের পর এক গাড়ি হাজির হয়♈ চিনার পার্ক এলাকায়। তা দেখে চমকে যান অনেকে। সেখান থেকে অফিসাররা নেমে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেন। এবার সেগুলি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন বলে ইডি সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: রামল🍒ালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করল বিশ্বভারতী, বিবৃতি জারি কর্তৃপক্ষের
এছাড়া এই ঋষি সিংয়ের সঙ্গে রাজ্যের নেতা–নেত্রীদের কোনও যোগাযোগ ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে চাইছেন ইডির তদন্তকারীরা। কারণ রেশন এবং শিক্ষা দুর্নীতির তদন্তের কিনারায় পৌঁছতে গেলে এগুলি দেখতেই হবে। কোনও প্রভাবশালীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল কিনা খুঁজছেন অফিসাররা। তবে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালান তাঁরা। তবে কোন তথ্য হাতে পেয়েছেন সেটা অবশ্য ইডির অফিসাররা খোলসা করেননি। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির ফয়সালা করতে চায় ইডি। তাই এখন জোর ধর▨পাকড় করছেন তাঁরা।