༒একের পর এক বাড়িতে আগুন। আতঙ্কে ঘরছাড়া বহু পরিবার। মুর্শিদাবাদে এখনও আতঙ্কের পরিবেশ পুরোপুরি কাটেনি। তার মধ্য়েই এবার ঘরছাড়া একাধিক পরিবার দেখা করতে এলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করতে। ঘরছাড়া পরিবারগুলি তাদের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
🍰বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় এসেছেন মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়ারা।
🌠বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ একাধিক বিজেপি নেতা রয়েছেন বিজেপির পার্টি অফিসে। সাংবাদিক বৈঠকে সেই ঘরছাড়া পরিবারের সদস্যরা একে একে মুখ খোলেন। বলেন তাঁদের যন্ত্রণার কথা।
সুকান্ত♍ মজুমদার বলেন, ঘর ছাড়া প্রায় ৭০০ মানুষ বৈষ্ণবনগর বিধানসভা এলাকার একটা হাইস্কুলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। নৌকাতে করে তারা চলে যান। তার মধ্য়ে আটজন এখানে এসেছেন। এরপর তিনি আটজনের নাম উল্লেখ করেন।
꧒তিনি বলেন, তাঁরা আজ কলকাতায় এসেছেন। এক কাপড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল তাঁদের। তাদের চোখের জল ফেলতে হয়েছে। নববর্ষের দিন তাদের চোখের জল ফেলতে হয়েছে। চোখের জল ফেলতে ফেলতে তাদের ভাত খেতে বাধ্য় হয়েছে।
✤এরপর একে একে সেই ঘরছাড়া পরিবারের সদস্যরা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
ঘরছাড়া🥂 এক মহিলা বলেন, বাড়ি লুঠপাট করেছে। পুলিশ থাকতেও আমার বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। বিএসএফআসার পরে তারপর আমরা বাঁচতে পেরেছি। না হলে বাঁচতে পারতাম না। বলছে হিন্দু থাকতে দেব না। কি অন্য়ায় করেছি আমি? হিন্দু মুসলিমরা আমাদের খুব মিল ছিল। বলছে মোদী পাশ করেছে তোদের থাকতে দেব না। হিন্দুদের থাকতে দেব না। আমাদের জলে বিষ মেশাচ্ছে। আমরা বিচার চাই। গলায় চাকু লাগালো। বললাম দাদা ঘরে আগুন লাগিয়ো না। তবু আগুন লাগাল। বিড়ি বাঁধি। কাঁঠালপাতা কুড়োই। সব পুড়ে ছাই করে দিল। বেছে বেছে হিন্দু বাড়িকে পুড়িয়ে দিল। আমাদের বাড়িতে হিন্দু বাড়িতে কোনও অস্ত্র ছিল না। বিএসএফ না থাকলে বাঁচতাম না। আমরা বেদবোনা গ্রামের বাসিন্দা। কী দোষ ছিল আমাদের? মেয়েদের গায়ে হাত দিতে আসছে। আমরা ওদের বিচার চাই।
সুকান্ত বলেন, বিএসএফ বাঁচিয়েছে বলে কি মুখ্য়মন্ত্রীর এত রাগ?
👍সুরজিৎ মণ্ডল নামে অপর এক ঘরছাড়া বাসিন্দা বলেন, আমাদের ওখানে ১০০ হিন্দু পরিবার আছে। চার পাঁচ হাজার মুসলিম পরিবার আছে। কেন আমাদের উপর হামলা করা হল?
🍨এদিকে কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোরে বুধবারই মুখ্য়মন্ত্রী বলেছিলেন, 'বাংলাদেশের ইউনুসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর গোপন বৈঠক করতেই পারেন। দেশের ভালো হলে ভালো। কিন্তু আপনাদের উদ্দেশ্যটা কী? অন্য দেশ থেকে লোক নিয়ে এসে দাঙ্গা করা? আপনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানেন না?' তিনি আরও বলেছিলেন, 'সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ কাকে কাকে হাত করেছে। কিছু বাচ্চা ছেলেকে ৫-৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ইট ছুড়িয়েছে।'