যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পরেই সিসিটিভি বসানোর দাবি উঠেছিল। সেই মতোই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি বসানোর কথা জানিয়েছিল। বুদ্ধদেব সাউ অস্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব পাওয়ার পরেও সিসিটিভি বসানোর ওপর জোর দিয়েছেন। তবে সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অর্থ দফতরের অনুমোদন। ফলে সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু করতে পারেনিꦡ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে জানা গিয়েছে, সেই টাকা বরাদ্দে সবুজ সংকেত দিয়েছে অর্থ দফতর। ফলে টাকা পেলেই দ্রুত সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু করে দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কবে শুরু হবে CCTV বসান𝓡োর কাজ, উত্তর দিলেন ♏JU-র রেজিস্ট্রার
রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৩৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর ফলে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে সেই টাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, সরাসরি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা চলে যাবে। চলতি সপ্তাহেই এই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সিসিটিভি বসানোর কাজ কবে থেকে শুরু হবে সে বিষয়ে এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে ꧅কিছু জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইছিল পূর্ত দফতরকে দিয়ে এই কাজ করাতে। এর জন্য তারা পূর্ত দফতরের কাছে আবেদনও জানিয়েছিল। কিন্তু, তাতে উৎসাহ দেখায়নি পূর্ত দফতর। ফলে বেসরকারি সংস্থা ওয়েবেলকে দিয়ে সিসিটিভি বসানোর কাজ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, হস্টেলের গেট সহ বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি লাগানো হবে। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি বসানোর কথা ঘোষণা করলেও ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ এর বিরোধিতা করে। তবে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের দাবি সিসিটিভি বসাতেই হবে। এমনকী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে যাদবপুরে সিসিটিভি বসানো হবে বলে মন্তব্য করেছিল⛦েন তৃণমূলেরꦺ সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কবে থেকে সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু হবে সেটাই এখন দেখার।
পড়༺ুয়াদের একাংশের দাবি, সিসিটিভি থাকলে পড়ুয়ারা অনেকটাই নিরাপদ থাকবে। র্যাগিংয়ের মতো ঘটনা বন্ধ করা যাবে। এর পাশাপাশি গতকাল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সঙ্গে ব🌊ৈঠক হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। সেখানে র্যাগিং রুখতে বিশ্ববিদ্যালয় কী কী পদক্ষেপ করেছে তা জানতে চেয়েছে কমিটি।