অনেকেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। তবু জামিন পাচ্ছেন না তিনি। বারবার মামলা উঠছে, শুনানি হচ্ছে অথচ জামিন অধরা। আর জেলে থেকে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তিনি। সদ্য দু’দিন আগে অসুস্থ হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তারপর 🌃আবার এসেছেন প𝄹্রেসিডেন্সি জেলে। হ্যাঁ, তিনি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইএম বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে চিঠি পাঠায় ইডি। এদিনই আদালতে জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে আবার জেলে ফিরেছেন। বুধবার ইডি মামলার শুনানিতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
শ্বাসযন্ত্রের স𝐆মস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁকে রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করেছিল। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল। তখন জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, কদিন ধরে প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হাসপাতালে ভর্তি। এই কথা শুনে ইডি অসন্তোষ প্রকাশ করে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের 🎐হাসপাতালে ভর্তি থাকার কথা ইডিকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। ইডির বক্তব্য, তারাই জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করেছিল। তাই সৌজন্যের খাতিরেও প্রাক্তন মন্ত্রীর হাসপাতালে ভর্তি থাকার কথা তাদের জানানো উচিত ছিল জেল কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন: হলুদ ট্যাক্সিকে বাঁচাতে পরিবহণমন্ত্রী চিঠি চালকদের, একাধিক পদক্ষেপ করার দাবি
পাল্টা জেল কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানান, হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তারপর জেলেও ফেরত এসেছেন। এখন ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি শুনানিতে যোগও দিয়েছেন। ইডিকে জেল কর্তৃপক্ষ জানায়নি ঠিকই। কিন্তু তা বলে কি ইডি জানত না? এই প্রশ্ন এখন উঠছে। কারণ বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী সম্পর্কে সেখানেও চিঠি পাঠি𓆏য়েছিল ইডি। তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন? কেন ভর্তি করা হয়েছিল? তা বিশদে জানতে চাওয়া হয়। তাই ইডিকে না জানানো নিয়ে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি আদালত।
বরং একজন মানুষকে বাঁচানো বেশি জরুরি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে জানানোর থেকে বলে অনেকের মত। এই আবহে রেশন দুর্নীতিতে জড়িত বাকিবুর রহমান ব্যাঙ্কশাল কোর্টে দুবাই যাওয়ার আবেদন করেন। তিনি এখন জামিনে আছেন। তাঁর ব্যবসার কাজ এবং সন্তানরা সেখানে থাকেন। তাই এই আবেদন। যদিও বাকিবুরের আবেদꦛনের বিরোধিতা করে ইডি। ইডির বক্তব্য, রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বাকিবুর। আর্থিক নয়💖ছয়ের সঙ্গে দুবাই যোগও আছে। তাই বিরোধিতা করা হয়। আর এক ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসও দুবাই যাওয়ার জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। তবে বাকিবুরের আবেদন নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত। ফলে চাপে বাকিবুর। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ইডি গ্রেফতার করে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে।