একুশের নির্বাচনে জিতে হ্যাট্রিক করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরই তাঁর প্রশংসা করেছিলেন সিপিআইএমের বর্ষীয়ান নেতা কান্তি গাঙ্গু𒉰লী। সেই প্রশংসায় খানিকটা বিপাকে পড়েছে দলও। তবে এখনও কোনও সাড়া–শব্দ এই বিষয়ে করেননি আলিমুদ্দিনের কর্তারা। এবার বিজেপিকে পরাস্ত করে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় খোলা মনে মমত🍷া বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাল বামফ্রন্ট তথা সংযুক্ত মোর্চার শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। তাতেও খানিকটা ফ্রন্টের অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
এদিন ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমতো চিঠি লিখে🐽 এই অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন ফর🌄ওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। এমনকী মমতার সরকারের পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছেন নরেনবাবু। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই এবং বিলগ্নিকরণে মোদী সরকারকে ঠেকাতে তাঁরা পাশে থাকবেন বলে উল্লেখ করেছেন। স্বভাবতই বাম শিবিরের পুরনো শরিক নরেনবাবুদের সরাসরি এই চিঠি পাঠানো নিয়ে বামফ্রন্টের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এমনকী প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ফরওয়ার্ড ব্লক কী তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে?
যদিও ফরওয়ার্ড ব্লক সূত্রে খবর, গত ১০ বছর ধরে একের পর এক নির্বাচনে শোচনীয় হার হয়েছে। আর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা পুরোপুরি মুছে গেল। তাই ফ্রন্টের শরিক থাকার সার্থকতা নিয়ে দলের ভিতরে তোলপাড় হচ্ছে। আব্বাস সিদ্দিকির দলকে সিপিআইএম নেতৃত্ব যেভাবে খাতির–যত্ন করেছে তাতে সেকুলার ভাবমূর্তিতে আঘাত লেগেছে। সংখ্যালঘুরা মোর্চার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এই নিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য কমিটি এবং কাউন্সিলের বৈঠক ডাকার পরিকল্পনা নিয়েছেন নরেনবাবুরা। তার আগে মমতাকে এই চিঠি পাঠিয়ে বাম শিবিরকেও একটা বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি বলে মনে করা হꦡচ্ছে।