আজ, রবিবার সকালে একই পরিবারের চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়ে পড়ল দুর্গাপুরে। রবিবাসরীয় সকালে বন্ধ ঘর থেকে দুই সন্তান এবং এক দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত্যুর আগে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে দম্পতি আত্মীয়স্বজনকে দুষেছিলেন। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসী ওই বাড়ির সামনে ভিড় করেন। তাঁদের দাবি, খুন করা হয়েছে ওই 🦹দম্পতি ও সন্তানদের। দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এলাকাবাসী এবং মৃতের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই মিলনপল্লীতে এক ব্যক্তি, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের দুই নাবালক সন্তানের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম অমিত মণ্ডল। বাড়ির ভিতরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ মিলেছে। আর বিছানায় পড়ে ছিল তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তানের দেহ। তাদের একজনের বয়স দুই, আর একজনের দশ। প্রাথমিক অনুমান, সম্পত্তি বিবাদের জেরেই সন্তানদের খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই দম্পতি। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছেছে। তবে এখনও দেহ উদ্ধার করতে পারেনি। এলাকাবাসীরা মৃতদেহ উদ্ধার করতে পুলিশকে ব༒াধা দেয়। কারণ এলাকাবাসীর অভিযোগ, অমিত মণ্ডল ও তাঁর পরিবারকে খুন করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে দুর্গাপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্গাপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কুরুড়িয়া ডাঙার মিলনপল্লি এলাকার বাসিন্দা এই মণ্ডল পরিবার। এখানেই আজ সকালে গোটা পরিবারের সদস্যদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গৃহকর্তার ন✱াম অমিত মণ্ডল (৩৭)। স্ত্রী রূপা মণ্ডল (৩৩) এবং দুই সন্তান নিমিত মণ্ডল (৭) ও নিকিতা মণ্ডলকে (১০ মাস) নিয়ে বসবাস করতেন মণ্ডল পরিবার। রূপা পেশায় সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। এখান থেকে চারজনের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। ম🎉নে করা হচ্ছে, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই পরিবার। সম্পত্তি বিবাদের জেরেই মৃত্যু কিনা খতিয়ে দেখছে আসানসোল–দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশকর্তারা।